দেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর ওপর বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (ICT) বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য খাত, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সাইবার হুমকির মুখে রয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়।
১. সার্ভার ও আইটি সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করতে হবে।
২. অপ্রয়োজনীয় পোর্ট বন্ধ ও অনুমতিভিত্তিক এক্সেস নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ৩-২-১ ব্যাকআপ কৌশল অনুসরণ করে নিয়মিত ডেটা ব্যাকআপ রাখতে হবে।
৪. ডেটা এনক্রিপশন বাধ্যতামূলক।
৫. সব গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (MFA) চালু করতে হবে।
৬. নিরাপত্তা নজরদারির জন্য বিশেষ টুলস ও সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
৭. ইডিআর, অ্যান্টিভাইরাস ইত্যাদি আপডেট ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. ইনসিডেন্ট রেসপন্স প্ল্যান ও সাইবার টিম প্রস্তুত রাখতে হবে।
৯. সন্দেহজনক লগইন বা পরিবর্তন মনিটর করতে হবে এবং প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
১০. রিমোট এক্সেস, ভিপিএন ও প্রিভিলেজড অ্যাকাউন্ট নিয়মিত রিভিউ করতে হবে।
১১. সাইবার আক্রমণের লক্ষণ দেখলেই বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করতে হবে।
১২. ২৪/৭ সিকিউরিটি মনিটরিং সেন্টার পরিচালনায় যথেষ্ট জনবল রাখতে হবে।
১৩. লোড ব্যালেন্সার ও বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখতে হবে।
১৪. বিজনেস কনটিনিউটি ও ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান হালনাগাদ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাইবার ঝুঁকি কমানো, হামলা প্রতিরোধ ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
সতর্কবার্তাটি ইতোমধ্যে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে—সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে দেশের আর্থিক খাত বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে।