ছবি: রায়েন্দা বাজার কালীমন্দির দুর্গামন্ডপ :
মাহফুজুর রহমান বাপ্পী:
শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা উৎসব। এ বছর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২২ টি দুর্গাপূজা মণ্ডপ করা হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলোতে শোভা পেয়েছে বিভিন্ন দেব দেবীর প্রতিমা।
মন্ডপগুলোতে ব্যপকভাবে পুজারীদের সমাগম দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পুজা মন্ডপ ঘুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করছেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ ওবায়দু্ল ইসলাম ও বাগেরহাট জেলা বিএনপি সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বিভিন্ন দুর্গা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
শরণখোলা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী বাবুল দাস বলেন,গতবছর এ উপজেলায় ২২ টি পূজা মণ্ডপে পূজা উদজাপন করা হয়েছে। এবছর ২২ টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা।
শরণখোলা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী আশীষ কুমার দাস বলেন,দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন। প্রশাসন আমাদের সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন,প্রত্যেকটি মন্দিরে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রকার সমস্যা নেই। তাছাড়া তিনি আরো বলেন,দুর্গাপূজায় শরণখোলায় কখনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি তাই এবছরেও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শরণখোলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক বুবাই কুমার নাগ বলেন, প্রতিটি মন্দিরে সরকারীভাবে ৫’শ কেজি করে চাল অনুদান দেওয়া হয়েছে। এবছর দুর্গাপূজা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহীদুল্লাহ বলেন,শরণখোলার ২২ টি পূজা মণ্ডপে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছে । কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি থাকবে র্যাব সদস্যরা। তাছাড়া দুর্গম এলাকাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ তেমন কোনো মন্ডপ নেই। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারবে বলে মনে করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন,শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সবার সাথে মিটিং করা হয়েছে। সেখানে হিন্দু,মুসলিম সহ রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন। দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় সে জন্য সবাই সবার স্থান থেকে সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন,দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাঠে থাকবে র্যাব,পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা। এরই মধ্যে প্রত্যেকটি মন্দিরের সভাপতি,সম্পাদকের কাছে সরকারি অনুদানের ৫’শ কেজি চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া শরণখোলার ২২ টি পূজা মণ্ডপে আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।