আজকের দিনে স্মার্টফোন ছাড়া দৈনন্দিন জীবন প্রায় কল্পনাই করা যায় না। অফিস, ক্লাস, বিনোদন বা যোগাযোগ—সব ক্ষেত্রেই এই ডিভাইসটি আমাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু অনেকেই জানেন না, একটি স্মার্টফোন কতদিন ভালোভাবে ব্যবহারযোগ্য থাকে এবং তার স্থায়িত্ব কীভাবে বাড়ানো যায়।
সাধারণত স্মার্টফোন কত বছর টেকে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি ভালো মানের স্মার্টফোন গড়ে ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। তবে এর স্থায়িত্ব নির্ভর করে মূলত চারটি বিষয়ের ওপর:
১. হার্ডওয়্যার ও নির্মাণ মান
শক্তিশালী প্রসেসর, উন্নত ব্যাটারি ও টেকসই কনস্ট্রাকশন থাকলে ফোনের আয়ু স্বাভাবিকভাবেই বেশি হয়।
২. সফটওয়্যার আপডেট
নিয়মিত অপারেটিং সিস্টেম ও নিরাপত্তা আপডেট যেসব ফোনে আসে, সেগুলো তুলনামূলকভাবে দীর্ঘমেয়াদে ভালো চলে।
৩. ব্যবহার পদ্ধতি
অতিরিক্ত গেম খেলা, ভিডিও এডিটিং বা দীর্ঘসময় হেভি অ্যাপ ব্যবহার করলে ফোনের পারফরম্যান্স দ্রুত কমে যেতে পারে।
৪. ব্যাটারির অবস্থা
বেশিরভাগ ফোনেই ২-৩ বছর পর ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা কমে আসে।
ফোনের আয়ু বাড়াতে যা করবেন:
ফোন অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করুন
নিয়মিত সফটওয়্যার ও সিকিউরিটি আপডেট ইনস্টল করুন
চার্জ সবসময় ২০%-৮০% এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ও ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ রাখুন
ভালো মানের চার্জার ও কভার ব্যবহার করুন
প্রয়োজনে ব্যাটারি পরিবর্তনের চিন্তা করুন
কবে বুঝবেন ফোন বদলানোর সময় হয়েছে?
ফোনে আর কোনো নতুন সফটওয়্যার আপডেট আসে না
ব্যাটারি এক ঘণ্টার নিচে ব্যাকআপ দেয়
ফোন প্রায়ই হ্যাং করে বা ধীরগতিতে চলে
নতুন অ্যাপ ইন্সটল করা যাচ্ছে না
ক্যামেরার পারফরম্যান্স একেবারে খারাপ
নতুন ফোন কেনার আগে শুধুমাত্র ডিজাইন বা ক্যামেরার দিকে নয়, বরং সফটওয়্যার আপডেট সাপোর্ট, নির্মাণমান ও ব্র্যান্ডের টেকনিক্যাল রেপুটেশনও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সঠিকভাবে যত্ন নিলে একটি স্মার্টফোন ৪-৫ বছর পর্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।