বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলারের মামলা খলিলের

দর্পণ ডেস্ক / ৩১ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ন

সম্প্রতি লুইজিয়ানার এক অভিবাসী বন্দিশিবির থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সংগঠক মাহমুদ খলিল। কারামুক্ত হয়েই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হয়েছিল, বিচারপ্রক্রিয়ায় বৈষম্যের শিকার করা হয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

খলিলের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য তাঁকে টার্গেট করা হয়। তাঁকে অপবাদ দেওয়া হয় ইহুদি-বিদ্বেষী হিসেবে, যদিও তিনি একাধিকবার প্রকাশ্যে ইহুদি-বিরোধিতার নিন্দা করেছেন।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ বছর বয়সি এই ছাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, ১০ সপ্তাহের শিশু পুত্র দীনকে কোলে নিয়ে তিনি সেই বিভীষিকাময় রাতগুলির কথা আজও ভুলতে পারেন না। তিনি বলেন, আমি সন্তান জন্মানোর খবর পাওয়ার অপেক্ষায় ঠান্ডা, নির্জন একটি সেলে একা বসে ছিলাম। সেই রাতের যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।

সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাহমুদ খলিলের আইনজীবীরা মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন। খলিল জানিয়েছেন, তিনি বার্তা দিতে চান যে তাঁকে ভয় দেখিয়ে থামিয়ে দেওয়া যাবে না। তওরা মনে করে, ওদের কেউ থামাতে পারবে না। আমি সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাই, বলেন তিনি।

৮ মার্চ, খলিল তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে রাতের খাবার শেষে বাড়ি ফেরার পথে গ্রেফতার হন। তাঁর দাবি, তাঁকে কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রায় তিন মাস লুইজিয়ানার ‘জেনা’ অভিবাসী বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়। তাঁর পরিবার বা আইনজীবীদের কিছুই জানানো হয়নি। খলিল জানান, তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়নি, তীব্র আলোয় ঘুমাতে বাধ্য করা হয়েছে এবং খাবার ছিল অখাদ্য। এর ফলে তাঁর ১৫ পাউন্ড ওজন কমে যায়। তিনি বলেন, এটি ছিল কার্যত অপহরণ।

১০৪ দিন আটক থাকার পর, গত ২০ জুন এক মার্কিন বিচারক খলিলের মুক্তির নির্দেশ দেন। বিচারকের মন্তব্য ছিল, তাঁকে পররাষ্ট্র নীতির অজুহাতে নির্বাসনের প্রচেষ্টা সংবিধানবিরোধী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host