বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

সিন্ধু পানি চুক্তি অবিলম্বে কার্যকরের জন্য ভারতের প্রতি পাকিস্তানের আহ্বান

দর্পণ ডেস্ক / ৩৪ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

কাশ্মীরে  সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছিল ভারত। প্রথম থেকেই পাকিস্তান  বলে আসছিল একতরফাভাবে কোনো পক্ষ  চুক্তি বাতিল বা স্থগিত করতে পারে না।

নেদারল্যান্ডের হেগের স্থায়ী সালিশি আদালত গত ২৭ জুন ভারত-পাকিস্তানের সিন্ধু পানি চুক্তির সম্পূরক রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার পর ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি পুরোপুরি এবং আন্তরিকভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৭ জুন ২০২৫ তারিখে ঘোষিত এক সম্পূরক রায়ে আদালত জানিয়েছে কিশেনগঙ্গা ও রাটলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে পাকিস্তান-ভারত বিরোধের বিষয়ে আদালতের এখতিয়ার বহাল রয়েছে এবং আদালতের দায়িত্ব হচ্ছে এই কার্যক্রম সময়োপযোগী, দক্ষ এবং ন্যায়সংগতভাবে এগিয়ে নেওয়া।

পাকিস্তানের দাবি, এই রায় প্রমাণ করে যে সিন্ধু পানি চুক্তি এখনো বৈধ এবং কার্যকর, এবং ভারত একতরফাভাবে এই চুক্তি স্থগিত করার কোনো অধিকার রাখে না।

ভারতীয় অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে গত এপ্রিল মাসে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে, যা পাকিস্তান জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে।

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত চুক্তি স্থগিত করে এবং পরবর্তীতে গত মাসে দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষে পরিণত হয়। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

সিন্ধু নদের অববাহিকায় প্রবাহিত ভারতীয় নদীগুলোর পানি ব্যবহারের অধিকার নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এই ব্যবহার নির্ধারিত হয়েছে ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তির মাধ্যমে, যেখানে কোনো পক্ষ একতরফাভাবে চুক্তি বাতিল বা স্থগিত করতে পারে না।

দর্পণ/এমএ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host