বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

এবার ভারতেও আন্দোলন শুরু

দর্পণ ডেস্ক: / ৯ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন

নেপালে যখন জেন-জি তরুণদের বিক্ষোভে রাজপথ প্রকম্পিত, ঠিক সেই সময় প্রতিবেশী ভারতেও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। দেশটির বিহার রাজ্যে হাজার হাজার চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষকের শূন্যপদ কমানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। ফলে রাজধানী পাটনার প্রধান সড়কগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু চতুর্থ দফা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টিআরই-৪)। চাকরিপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, সরকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে শূন্যপদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রায় ৩০০০ তরুণ পাটনা কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের বাসভবনের উদ্দেশে মিছিল শুরু করেন। কেতন মার্কেট, বকরগঞ্জ, গান্ধী ময়দান হয়ে ডাকবাংলো স্কয়ার পর্যন্ত এই মিছিল ছড়িয়ে পড়লে শহরের বেশিরভাগ অংশ অচল হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারের পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। অথচ শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমার ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা দেন, এবার নিয়োগ দেওয়া হবে মাত্র ২৬ হাজারের কিছু বেশি পদে। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
ছাত্রনেতা দিলীপ কুমার অভিযোগ করেন, ‘যখন ডোমিসাইল নীতি কার্যকর হয়নি, তখন সরকার কখনো ৫০ হাজার, কখনো ৮০ হাজার, আবার কখনো ১ লাখ ২০ হাজার শূন্যপদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু নিয়ম চালু হওয়ার পর সেই সংখ্যা কমিয়ে ২৭ হাজার ৯১০ করা হয়েছে। এটি বিহারের তরুণদের সঙ্গে স্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা।’
তিনি বলেন, আগে বাইরের রাজ্যের প্রার্থীদের টানতে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি শূন্যপদের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল। এখন স্থানীয়দের জন্য সুযোগ রাখতেই পদ সংখ্যা অযৌক্তিকভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে তরুণদের মধ্যে গভীর হতাশা ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।
এদিকে সামনে বিধানসভা নির্বাচন থাকায় শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুটি রাজনৈতিকভাবে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। চাকরিপ্রত্যাশীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, পূর্ণ শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করা হলে আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে। সূত্র: ফ্রি প্রেস জার্নাল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host