বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

সাইফ আলি খানের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি দখলে নিচ্ছে মোদি সরকার

দর্পণ ডেস্ক / ২১ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

চলতি বছরটা একের পর এক ধাক্কা নিয়ে এসেছে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের জীবনে।

বছর শুরুর দিকে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হওয়ার পর এবার আরও বড় বিপদের মুখোমুখি হলেন ‘নবাব’ খ্যাত এই অভিনেতা।

উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি হাতছাড়া হতে চলেছে তার।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, পতৌদি পরিবারের ঐতিহাসিক এই সম্পত্তি সরকারের অধিগ্রহণের পথে রয়েছে।

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সাইফ আলি খানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

এর ফলে সম্পত্তিটি ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে সরকারের হস্তগত হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে।

যেভাবে শুরু হলো এই বিতর্ক

বিতর্কের সূচনা ২০১৪ সালে, যখন মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা দেয়—ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট ১৯৬৮’-এর আওতায় আনা হবে।

কারণ, নবাবের জ্যেষ্ঠ কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে চলে যান। সরকারের যুক্তি—বিদেশে বসবাসরত উত্তরাধিকারীর সম্পত্তি এখন রাষ্ট্রের মালিকানায় পড়বে।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন সাইফ আলি খান।

দীর্ঘ সময় মামলাটি স্থগিত থাকলেও ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।

আর চলতি বছরের জুলাইয়ে আদালত সাইফের আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেয়।

শত্রু সম্পত্তি আইনের পটভূমি

১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় প্রণীত ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, যেসব নাগরিক ভারত ছেড়ে পাকিস্তান বা চীনে স্থায়ী হন, তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি রাষ্ট্রের অধীনে চলে যায়।

ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খান ছিলেন সাইফ আলি খানের দাদার শ্বশুর। তার কন্যা সাজিদা সুলতান, যিনি ভারতে থেকে যান, তিনিই আইনত এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। সাইফ আলি খান তারই নাতি।

২০১৯ সালে আদালত স্বীকৃতি দিয়েছিল সাজিদা সুলতানের উত্তরসূরি হিসেবে সাইফ আলি খান সম্পত্তির দাবিদার। কিন্তু তার ফুফু আবিদা সুলতান পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় বিষয়টি জটিল হয়ে পড়ে। সরকার সেই সুযোগে পুরো সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে দাবি করে।

বর্তমানে আদালতের রায়ের ফলে সাইফ আলি খানের দাবি বাতিল হয়ে গেছে। আর প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশাল সম্পত্তি ভারত সরকারের হেফাজতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

দর্পণ/এমএ

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host