বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা, নিহত তিন শতাধিক

দর্পণ ডেস্ক / ২৯ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৫৬ অপরাহ্ন

হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ভয়ংকর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান। বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি বড় ধরনের ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে অনেক জায়গায়। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে ব্যাপক মাত্রায়। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানেই ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর ও বাটগ্রাম। এছাড়া, দুর্যোগে পড়েছে কাশ্মীর এবং গিলগিত-বালতিস্তানও।

শনিবার (১৬ আগস্ট) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এএফপি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্ষাকালে সাধারণত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, সে তুলনায় এবার অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে উত্তর পাকিস্তানে। এতে অনেক জায়গায় সড়ক ও ভবন ধসে সেগুলো ভেসে গেছে। এখন পর্যন্ত নতুন করে শুরু এ দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২১ জনে দাঁড়িয়েছে।

 

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাতে এএফপি বলছে, শুধু খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেই ৩০৭ জন মারা গেছেন। তাদের অধিকাংশই আকস্মিক বন্যা ও বাড়িঘর ধসে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় দুই হাজার উদ্ধারকর্মী ৯টি জেলায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। কিন্তু এখনো বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

উদ্ধার সংস্থার মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফয়েজি বলেন, ত্রাণ সরবরাহ অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে। ভারী বৃষ্টিপাত, বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কারণে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিবহন করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ জায়গায় সড়ক বন্ধ থাকায় উদ্ধারকর্মীরা হেঁটে দুর্গম এলাকায় পৌঁছচ্ছেন।

 

তিনি আরও জানান, জীবিতদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টার করলেও অনেকেই যেতে চাইছেন না। তাদের স্বজনরা এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি পাহাড়ি জেলা— বুনের, বাজউর, সোয়াত, শাংলা, মানসেহরা ও বাত্তাগ্রামকে দুর্যোগাক্রান্ত এলাকা ঘোষণা করেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকার ।

 

দর্পণ/এম এ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host