বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ক্যাফে, স্কুল ও ত্রাণকেন্দ্রে নিহত ৯৫: বাড়ছে মানবিক বিপর্যয়

প্রতিনিধিঃ / ৩২ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ২:১৯ অপরাহ্ন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি ক্যাফে, একটি স্কুল, একটি হাসপাতাল এবং একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। সোমবার রাতের এই হামলাগুলো চালানো হয় কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই। হামলার সময় ওইসব স্থানে নারী, শিশু, সাংবাদিকসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ফলে যুদ্ধের নৃশংসতা ও মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর রূপ নিয়েছে।

উত্তর গাজার সমুদ্রতীরবর্তী জনপ্রিয় ক্যাফে ‘আল-বাকা’-তে হামলার সময় একটি শিশুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করা হলে অন্তত ৩৯ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক ইসমাইল আবু হাতাবও রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াহিয়া শরিফ বলেন, “এই জায়গার কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না। শিশুদের জন্মদিন চলছিল এখানে। আমরা ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি।”

এরপর গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে হামলা চালানো হয়। সেখানে কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। একজন আশ্রয়প্রার্থী হামাদা আবু জারাদে জানান, “হামলার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে আমাদের সরে যেতে বলা হয়। আমরা জানি না কোথায় যাবো। গত ৬৩০ দিনের বেশি সময় ধরে আমরা কোনো সাহায্য পাইনি।”

মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় অবস্থিত আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের ভেতরেও বোমা ফেলা হয়। হাসপাতালে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। বোমা বিস্ফোরণের পর বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে, মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়াতে থাকেন। আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম জানান, “এই হাসপাতালে এর আগেও অন্তত ১০ বার হামলা হয়েছে। প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর এটি আরেকটি মারাত্মক আঘাত।”

 

খান ইউনিসে বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে চালানো আরেক হামলায় নিহত হন অন্তত ১৫ জন, আহত হন ৫০ জনের বেশি। তারা সবাই খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। মে মাসের শেষ দিক থেকে এসব কেন্দ্রে প্রায় প্রতিদিনই হামলা চলছে। এখন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলিতে হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন, আহত হয়েছেন ৪ হাজারের বেশি।

এদিকে ইসরায়েলের একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ দাবি করেছে, সেনাদের নিরস্ত্র ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর সরাসরি গুলি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সেনা স্বীকার করেছেন, কোনো হুমকি না থাকলেও তাদের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও সহিংসতার নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস সূত্রে খবর, আল-আকসা হাসপাতালের ভেতরে শরণার্থীদের জন্য নির্মিত একটি তাঁবুতেও বোমা বর্ষণ করা হয়। এতে রোগী ও আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন আরও বিপন্ন হয়ে পড়ে। এই ঘটনাকে তারা গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর ‘পদ্ধতিগত ও পরিকল্পিত হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

দর্পণ/এমএ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host