টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কলম্বোয় খেলা শুরু হতেই নতুন বলে ফ্রেশ উইকেটের সুবিধা কাজে লাগায় বাংলাদেশের দুই পেসার—তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিব।
মাত্র ২৯ রানের মধ্যেই তুলে নেন শ্রীলঙ্কার শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যানকে।
ওয়ানডে অভিষেকে ডাক মেরে ফেরেন ইনফর্ম ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা, যিনি আগের দুই টেস্টে করেছিলেন সেঞ্চুরি। তাকেই ফিরিয়ে শুরুটা এনে দেন তানজিম। এরপর তাসকিন তুলে নেন নিশান মাদুষ্কা (৬) ও রানের খাতা না খুলে বিদায় করা হয় কামিন্দু মেন্ডিসকে।
এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে মিডল অর্ডার। চতুর্থ উইকেটে কুশল মেন্ডিস ও চারিথা আশালঙ্কার জুটি এনে দেয় ৬০ রান। তবে কুশল মেন্ডিস ৪৫ রানে আউট হলে আবার ছন্দপতন হয়। পঞ্চম উইকেটে আশালঙ্কা ও লিয়ানাগে মিলে আরও ৬৪ রান যোগ করেন, কিন্তু শান্তর বলে লিয়ানাগে ২৯ রানে ফিরে গেলে শ্রীলঙ্কা আবার ধাক্কা খায়।
আশালঙ্কা এরপর একের পর এক চার ব্যাটারের সঙ্গে জুটি গড়েন—মিলান রত্নায়েকে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, থিসারা ও তিকসানা—কিন্তু কেউই বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। অভিষিক্ত রত্নায়েকে করেন ২২ রান, হাসারাঙ্গাও যোগ করেন ২২।
সবাই যখন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত, তখন একপ্রান্ত আগলে রাখেন আশালঙ্কা। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেন ১২৩ বলের দারুণ এক ইনিংস, যার মধ্যে ছিল ৬টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা। তার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৫০ ওভারের চার বল বাকি থাকতেই ২৪৪ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ইনজুরি থেকে ফেরা তাসকিন আহমেদ। ১০ ওভারে ৪৭ রানে নেন ৪টি মূল্যবান উইকেট। তানজিম সাকিব তুলে নেন ৩ উইকেট, খরচ করেন ৪৬ রান (৯.২ ওভার)।
অভিষেক ম্যাচে ভালো বল করেন স্পিনার তানভীর ইসলামও—১০ ওভারে ৪৪ রানে ১ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ইনজুরিতে মাঠ ছাড়ার আগে ৬ ওভারে দেন ২৪ রান।
na