মেজর লিগ সকারে যেন থামছেই না লিওনেল মেসির গোলবন্যা। ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষে শনিবার (স্থানীয় সময়) রাতে ইন্টার মায়ামির হয়ে ফের জোড়া গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
ফ্লোরিডার ফোর্ড লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৭তম মিনিটেই আলো ছড়ান মেসি। প্রতিপক্ষের ফাউলের পর ফ্রি কিক থেকে নিচু শটে বল জালে পাঠিয়ে ইন্টার মায়ামিকে এগিয়ে নেন তিনি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে, ৬২তম মিনিটে ন্যাশভিল গোলকিপার জো উইলিস এক ভয়ংকর ভুল করে বসেন। সতীর্থের ব্যাকপাস পায়ে নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন, আর তার কাছাকাছি থাকা মেসি সুযোগ লুফে নিয়ে সহজেই বল জালে ঠেলে দেন।
মেসির জোড়া গোলে আবারও ইতিহাস রচিত হয়েছে। এটি ছিল এমএলএসে তার টানা পাঁচ ম্যাচে জোড়া গোল করার রেকর্ড—যা এই লিগের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। তার আগে মন্ট্রিয়ল, কলম্বাস, নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলুশন এবং আবারও মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন মেসি।
এদিন ফ্রি কিক থেকে করা গোলটি ছিল মেসির ক্যারিয়ারের ৬৯তম ফ্রি কিক গোল। এর মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্কোস আসুনসিওকে (৬৮)। এই তালিকায় এখন তার উপরে আছেন কেবল জুনিনিও (৭২), রবার্তো দিনামাইট (৭৫) ও মার্সেলিনো কারিওকা (৭৮)। এই তালিকায় মেসির অবস্থান এখন চতুর্থ।
ন্যাশভিল অবশ্য ম্যাচে একবার ফিরেছিল। ৪৯তম মিনিটে হ্যানি মুখতারের গোলে সমতা ফেরায় তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় ধরে রাখতে পারেনি। পুরো ম্যাচজুড়েই মেসি ছিলেন ছন্দে, তার পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিল ইন্টার মায়ামি।
এই জয়ে টানা ছয় ম্যাচ অপরাজিত থাকল ইন্টার মায়ামি। ১৯ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে তাদের অবস্থান এখন পঞ্চম। অন্যদিকে, ২২ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশভিল। শীর্ষে রয়েছে ফিলাডেলফিয়া, ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে।
মেসির এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্স যেন প্রমাণ করে দিচ্ছে—বয়স কেবল একটি সংখ্যা। তাঁর পায়ে ভর করেই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ইন্টার মায়ামি।