অ্যাভিয়েশন সিস্টেম পরিবর্তন করে ঢাকাসহ দেশের সব জনবহুল এলাকায় বিমান উড্ডয়নে নিষেধাজ্ঞা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ বিমান উড্ডয়নে নিষেধাজ্ঞা কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদালত দেশে বর্তমানে ত্রুটিপূর্ণ বিমানের সংখ্যা কত কেন তা প্রকাশ করা হবে না এবং ত্রুটিপূর্ণ বিমান রক্ষণাবেক্ষণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতেও রুল জারি করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মানবিক আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মহিউদ্দিন পলাশ, অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ্, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, তানিম খান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির ও মো. ঈসা।
এর আগে গতকাল সোমবার ঢাকার উত্তরায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
এতে শিক্ষার্থীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি ও ঢাকাসহ দেশের সব জনবহুল এলাকায় ত্রুটিপূর্ণ বিমান এবং যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বিমানবাহিনীর অধীনে ত্রুটিপূর্ণ বিমানের সংখ্যা কত এবং এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে কী কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে, তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া রিটে মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো, মাইলস্টোন স্কুলে আগুনে পুড়ে নিহত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা এবং আহত শিক্ষার্থীদের এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গতকাল সোমবার বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও ১৬৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।