বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

হারাম টাকায় দান? ইসলামে রয়েছে কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক / ২৩ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫, ৬:২৪ অপরাহ্ন

জীবন চালাতে উপার্জন আবশ্যক। কিন্তু সেই উপার্জন যদি হারাম হয়—তবে তার শাস্তি শুধু দুনিয়াতে নয়, আখিরাতেও ভয়াবহ। ইসলামে হারাম উপার্জনকারীর দান, হজ, এমনকি কোনো ইবাদতই গ্রহণযোগ্য নয় বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।

হালাল রিজিকের গুরুত্ব
ইসলাম মানুষকে হালাল রিজিক অর্জনের প্রতি কঠোরভাবে উৎসাহিত করেছে। নবীজি (সা.) বলেন:
“যে ব্যক্তি হালাল খাবার খেয়েছে, সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেছে ও মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, সে জান্নাতে যাবে” (তিরমিজি: ২৫২০)।

অন্যদিকে সুদ, ঘুষ, জুয়া, চুরি, প্রতারণা, যৌতুক, মিথ্যাচারসহ নানা অবৈধ পন্থায় উপার্জন ইসলাম সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করেছে।

কোরআনের সতর্কতা
আল্লাহ বলেন:

“তোমরা একে অপরের সম্পদ অবৈধভাবে ভোগ করো না, বিচারকের মাধ্যমে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করো না।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৮)

এছাড়া তিনি আরও বলেন:

“হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদের যা রিজিক দিয়েছি, তা পবিত্রভাবে আহার করো এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৭২)

হারাম অর্থ দিয়ে ইবাদত?
বিভিন্নের ভুল ধারণা যে, হারাম অর্থ থেকে দান, হজ, কিংবা উমরা করলে সেই অর্থ হালাল হয়ে যায়—এটি ইসলামী শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

নবীজি (সা.) বলেন:

“কিয়ামতের দিন মানুষের কাছে চারটি প্রশ্ন করা হবে, তার মধ্যে একটি—সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে?” (তিরমিজি: ২৪১৭)

হাদিসের দৃষ্টিতে শাস্তির ভয়াবহতা
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন:

“হারাম উপার্জনে দান করলে তা কবুল হবে না, বরং তা ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।”
(মুসনাদে আহমদ: ৩৬৭২, মুসনাদে বাজ্জার: ২০২৬)


ইসলামে দান-সদকা ও ইবাদত ‘পবিত্র আমল’ হিসেবে গৃহীত হয় কেবল তখনই, যখন তা হয় হালাল ও বৈধ রিজিক থেকে। হারাম অর্থ দান করলে তা গুনাহ মাফ তো হয়ই না, বরং তা হয়ে দাঁড়ায় আরও বড় অপরাধ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host