জীবন চালাতে উপার্জন আবশ্যক। কিন্তু সেই উপার্জন যদি হারাম হয়—তবে তার শাস্তি শুধু দুনিয়াতে নয়, আখিরাতেও ভয়াবহ। ইসলামে হারাম উপার্জনকারীর দান, হজ, এমনকি কোনো ইবাদতই গ্রহণযোগ্য নয় বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
হালাল রিজিকের গুরুত্ব
ইসলাম মানুষকে হালাল রিজিক অর্জনের প্রতি কঠোরভাবে উৎসাহিত করেছে। নবীজি (সা.) বলেন:
"যে ব্যক্তি হালাল খাবার খেয়েছে, সুন্নাহ মোতাবেক আমল করেছে ও মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, সে জান্নাতে যাবে" (তিরমিজি: ২৫২০)।
অন্যদিকে সুদ, ঘুষ, জুয়া, চুরি, প্রতারণা, যৌতুক, মিথ্যাচারসহ নানা অবৈধ পন্থায় উপার্জন ইসলাম সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করেছে।
কোরআনের সতর্কতা
আল্লাহ বলেন:
“তোমরা একে অপরের সম্পদ অবৈধভাবে ভোগ করো না, বিচারকের মাধ্যমে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করো না।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৮)
এছাড়া তিনি আরও বলেন:
“হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদের যা রিজিক দিয়েছি, তা পবিত্রভাবে আহার করো এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৭২)
হারাম অর্থ দিয়ে ইবাদত?
বিভিন্নের ভুল ধারণা যে, হারাম অর্থ থেকে দান, হজ, কিংবা উমরা করলে সেই অর্থ হালাল হয়ে যায়—এটি ইসলামী শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
নবীজি (সা.) বলেন:
“কিয়ামতের দিন মানুষের কাছে চারটি প্রশ্ন করা হবে, তার মধ্যে একটি—সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে?” (তিরমিজি: ২৪১৭)
হাদিসের দৃষ্টিতে শাস্তির ভয়াবহতা
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন:
“হারাম উপার্জনে দান করলে তা কবুল হবে না, বরং তা ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।”
(মুসনাদে আহমদ: ৩৬৭২, মুসনাদে বাজ্জার: ২০২৬)
ইসলামে দান-সদকা ও ইবাদত ‘পবিত্র আমল’ হিসেবে গৃহীত হয় কেবল তখনই, যখন তা হয় হালাল ও বৈধ রিজিক থেকে। হারাম অর্থ দান করলে তা গুনাহ মাফ তো হয়ই না, বরং তা হয়ে দাঁড়ায় আরও বড় অপরাধ।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ