বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

ফকিরহাটে ঘেরের মাচায় ঝুলছে উচ্চমূল্যের অসংখ্য রঙিন তরমুজ : আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

ফকিরহাট ( বাগেরহাট) প্রতিনিধি: / ১৬ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:৪২ অপরাহ্ন

 

আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)  থেকে:

বাগেরহাটের ফকিরহাটে মাছের ঘেরে সারি সারি গাছে ঝুলছে হলুদ, সবুজ ও কালো বর্ণের অমৌসুমী তরমুজ। কৃষির নতুন এ উদ্যোগ দৃষ্টি কেড়েছে কৃষক ও উৎসুক ভোক্তাদের। আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়ায় তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন অনেক কৃষক। উপজেলা কৃষি বিভাগের নিয়মিত পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে এ অমৌসুমী তরমুজ চাষ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ফকিরহাট উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বর্তমানে ১০ হেক্টর জমিতে ৮০ জন কৃষক মাছের ঘেরে অমৌসুমী তরমুজ চাষ করছেন। কৃষকদের বীজ, সার, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ। মাছের ঘেরের আইলের উপর গাছ রোপন ও ঘেরে পানির উপর মাচা হওয়ায় বাড়তি ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে না। আবার ঘেরের আইলের উচু জমিতে জলাবদ্ধতার সময় ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
কৃষি বিভাগ জানায়, প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগ কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। ঝুলন্ত রঙিন তরমুজ চাষ এখন ফকিরহাটের কৃষিতে এক নতুন সম্ভাবনা।
নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের কৃষক নিতুল রায় বলেন, ‘চলতি মৌসুমে প্রথমবার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ঘেরে তরমুজ চাষ করেছি। ফলন দারুণ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। আশা করছি আরও দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারব।’
তরমুজ খেত থেকে প্রতি কেজি তরমুজ গড়ে ৪৫/৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তৃপ্তি নামের হলুদ তরমুজ কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে আরো বেশি দাম।
একই এলাকার চাষী নিরাপদ বৈরাগী ও বিশ্বজিৎ সরকার জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা তরমুজ চাষ করেছেন। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় আগামী মৌসুমে আরও বেশি জমিতে চাষের পরিকল্পনা করছেন। ঘেরে উপর চাষ করায় মাছের কথা বিবেচনা করে তরমুজে কোন প্রকার রাসয়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে না। তরমুজ চাষ পদ্ধতি নিরাপদ হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও বেশি।
ফকিরহাট বাজারের ডাকবাংলো মোড়ে তরমুজ কিনতে আসা শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, “দুদিন আগে একটি হলুদ তরমুজ কিনেছিলাম। বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় আজ আবার কিনতে এসেছি।”
কৃষকরা জানান, উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ আশেপাশের জেলায় যাচ্ছে এসব তরমুজ।
মৌভোগ ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব দাস জানান, ‘অফসিজন তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। অনেক কৃষক প্রথমবার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বাজারে তরমুজের চাহিদা ও দাম দুটোই ভালো।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ফকিরহাটে তৃপ্তি, ফর্মেলো, বিগ ফ্যামিলি ও ছক্কা- এই চার জাতের তরমুজ চাষ হচ্ছে। এরমধ্যে নলধা-মৌভোগ ও লখপুর ইউনিয়নে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কৃষকদের আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে আগামীতে আরও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host