ফুটবল মাঠে লিওনেল মেসির নিরাপত্তা নিয়ে বরাবরই আলোচনায় থাকেন তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ইয়াসিন চুয়েকো। মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলেই মেসির পাশে ছায়ার মতো হাজির হন তিনি। তবে এ ধরনের তৎপরতা আবারও তাকে নিষেধাজ্ঞার মুখে ফেলেছে।
গত ৩০ জুলাই, লিগস কাপের ম্যাচে ইন্টার মায়ামি ও মেক্সিকান ক্লাব আটলাস মুখোমুখি হলে খেলা শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মেসির দেহরক্ষী চুয়েকো দ্রুত মাঠে প্রবেশ করেন। তবে তিনি পরিচয়পত্র ছাড়া নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করেন এবং পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলেন।
ঘটনার পর আটলাসের খেলোয়াড়রা এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন। এরপর লিগস কাপের শৃঙ্খলা কমিটি চুয়েকোকে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে টেকনিক্যাল এরিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই সঙ্গে ইন্টার মায়ামিকেও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে, যদিও নির্দিষ্ট অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
আটলাসের ডিফেন্ডার দোরিয়া বলেন, “মেসির নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা বুঝি, কিন্তু খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বন্দ্বে তার (চুয়েকোর) হস্তক্ষেপ অনুচিত। মাঠে দেহরক্ষীর এভাবে ঢুকে পড়া শৃঙ্খলার পরিপন্থী।”
এটাই প্রথম নয়, এর আগেও এমএলএসে একই রকম আচরণের জন্য চুয়েকোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মেসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তার তৎপরতা যতটা প্রশংসনীয়, একইসঙ্গে তা প্রশ্নও তুলছে—দেহরক্ষীর ভূমিকা কোথায় শেষ হওয়া উচিত?