বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে সুখরঞ্জন বালি

দর্পণ ডেস্ক / ২৭ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ন

গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা প্রয়াত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার সাক্ষী পিরোজপুরের সুখরঞ্জন বালি।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তিনি।

পরে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, সুখরঞ্জন বালি চিফ প্রসিকিউটর অফিসে অভিযোগ দাখিল করতে এসেছেন। তার অভিযোগ-তাকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়। এছাড়া গুম ও নির্যাতনেরও অভিযোগ করেছেন। ৫ বছর অবৈধভাবে ভারতের কারাগারে তাকে আটক রাখা হয় বলে অভিযোগ এনেছেন।

সুখরঞ্জন বালি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক এমপি এ কে এম আউয়াল, ট্রাইব্যুনালের সাবেক চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সাবেক প্রধান মো. সানাউল হক, তদন্তকারী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

এ সময় সুখরঞ্জন বালির আইনজীবী পাভেজ হোসেন বলেন, ‌‘২০১২ সালে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলা চলছিল। তখন এই সুখরঞ্জন বালিকে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছিল পিরোজপুর থেকে। তাকে সাক্ষী দেওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ ও লাঞ্ছনা করা হয়েছিল। সুখরঞ্জন বালি বলেছেন, তার ভাইকে যারা মেরেছিল তখন সেখানে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন না।’

সুখরঞ্জন বালী তার অভিযোগে বলেন, ‘আমার ভাই বিশাবালীকে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আমাকে পিরোজপুরের পাড়েরহাটের রাজলক্ষ্মী স্কুলে ডেকে ৭১-এ আমার ভাই বিশাবালীর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চান। আমি তাঁকে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলি। কিন্তু হেলাল উদ্দিন আমাকে ভাইয়ের হত্যাকারী হিসাবে প্রকৃত হত্যাকারীদের নামের সঙ্গে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামও বলতে বলেন এবং তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি তাকে তখনই জানাই, সাঈদী হুজুর আমার ভাই বিশাবালী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। সুতরাং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন আমাকে জোরপূর্বক রাজি করাতে সেখানেই আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন। আমাকে হত্যার হুমকি দেন। আমি তাঁদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপনে চলে যাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে নির্যাতনের অনেক দিন পর সাঈদী হুজুরের ছেলে মাসুদ সাঈদী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আমার ভাই বিশাবালী হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানতে চান। এরপর ২০১২ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকায় আসি এবং মাসুদ সাঈদীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি পরদিন ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী মিজানুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান। এরপর ৫ নভেম্বর অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম আমাকে তার গাড়িতে করে ট্রাইব্যুনালের দিকে রওনা দেন।’

সুখরঞ্জনের আইনজীবী বলেন, ‘সে সময় ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে সুখরঞ্জন বালিকে সাদা পোশাকধারী পুলিশের সদস্যরা জোরপূর্বক তুলে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। তারপর তাকে একটা বদ্ধ রুমে প্রায় তিন মাস আটকে রাখা হয়। এরপর তাকে সেখান থেকে সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভারতের সীমান্ত রক্ষীদের কাছে সুখরঞ্জন বালিকে হস্তান্তর করা হয়।’

এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘সুখরঞ্জন বালি জানিয়েছেন, পরে তিনি যে স্থানটি আবিষ্কার করেছিলেন তা হলো ভারতের কলকাতার বশিরহাট। সেখানে তাকে আটক রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছর জেল জীবন কাটাতে হয়। পরে তিনি মুক্তি পান।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host