ক্যাপশন: বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ,এম,এম নাসির উদ্দিনের কাছে আবেদনপত্র জমা দেন তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির।
“মহিদুল ইসলাম”
নির্বাচন কমিশনের বাগেরহাটের সংসদীয় চারটি আসন বহালের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ডক্টর কজী মনিরুজ্জামান মনির। তিনি বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সশরীরে ইসি কার্যালয়ে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের হাতে আবেদনপত্রটি প্রদান করেন।
এদিকে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ায় বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করায় ক্ষোভে ফুঁসছে জেলাবাসী। সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়।
রাজনৈতিক মহল, সাধারণ মানুষ এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এনিয়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ইসির এমন হটকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত নতুন বিন্যাস অনুযায়ী বাগেরহাটে চারটির স্থলে তিনটি আসন করা হয়। আসনগুলো হচ্ছে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, ফকিরহাট, মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল) এবং বাগেরহাট-৩ (মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)।
এই আসনগুলের মধ্যে উপকূলের অবহেলিত উপজেলা শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ। এই আসনটি বরাবরই শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে। এই পরিস্থিতিতে আসনটি কেটে সংসদীয় আসন বাগেরহাট -৩ করে মোংলা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হলে উন্নয়নসহ সার্বিক দিক থেকে আরো পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল।
এব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে বাগেরহাট-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক ডক্টর কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় হতবাক হয়েছি। এমনিতেই বাগেরহাট-৪ আসনে ২০টি ইউনিয়ন। দূর্গম এলাকা। উন্নয়ন বরাদ্দ কম। মোংলা উপজেলাকে বাগেরহাট-৪ আসনে যুক্ত করা হলে এতে জটিলতা আরো বাড়বে। আসন পুনর্বহালের দাবিতে সিইসির কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। ইসি যদি সিদ্ধান্ত বাতিল না করে তাহলে সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে রাজপথে নামব।
এ ছাড়াও বাগেরহাটের আসন কমানোর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর মন্তব্যের মধ্যে তালুকদার মো. মধু লিখেছেন বাগেরহাটের ভৌগলিক আয়তন নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র হয় প্রয়েজনে রক্ত দিব, কিম্তু আমাদের আসন কমাতে দিব না। আ. জলিল তালুকদার লিখেছেন বাগেরহাট ৪ আসন পুনর্বহালে প্রয়োজনে আমরা রাজপথে নামবো। এমডি আসাদুজ্জামান লিখেছেন সীমানা নির্ধারণ মানে নির্বাচন বিলম্বিত করা। হাওলাদার মাহফিজুর রহমান লিখেছেন বাগেরহাট পূণ্যভূমিতে শায়ীত আছেন হজরত খাজা খানজাহান (রহ.) এই পূণ্যভূ্মিকে অবহেলা করে কেউই সফলতা আনতে পারবেনা, ইনশাআল্লাহ। ##