
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা দলগুলোর মধ্যে ২২টি দল প্রথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এসব দলের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে তদন্তে নামবে ইসি। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত মার্চ মাসের ১০ তারিখে আজ থেকে সার্কুলার দিয়েছিলাম আবেদন আহ্বান করেছিলাম। ২২ জুন শেষ দিন ছিল তাদের দরখাস্ত জমা দেয়ার। আমরা মোট ১৪৩ টি আবেদন পেয়েছিলাম। এর মধ্যে কারোরই প্রাথমিক অবস্থায় সকল কাগজপত্র পুরা ছিল না। যে কারণে সবাইকেই তাদের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ১৫ দিন সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ৮৪ টি দল তাদের ঘাটতি পূরণ করে তাদের ভাষ্যমতে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। আর ৫৯ টি দল কোন রেসপন্স করেন নাই।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, এই ৮৪ টি দলের মধ্যে ২২টি আপাতত দৃষ্টে সঠিক বলে উইথ ফ্লেক্সিবিলিটি পাওয়া গেছে। যেগুলো মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য চলে যাবে। আর বাকি ১২১ টি অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। তাদেরকে কারণ দর্শন সহ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে।
প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ যে ২২ দল
ফলোয়ার্ড পার্টি, আম জনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসকবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভোলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
উল্লেখ্য, এবার ১৪৩টি নতুদ দল থেকে আবেদন করেছিল। আবেদন করা কোনো দলই পুরোপুরি শর্ত পূরণ করতে পারেনি। পরে ঘাটতি পূরণে ১৫ দিন সময় দিয়েছিল কমিশন। যার মধ্যে ৮৪টি দল তাদের ঘাটতি পূরণ করে ইসিতে জমা দেয়। ৫৯টি দল কোনো কোনো সাড়া দেয়নি। ৮৪ দলের মধ্যে ২২টি দল তাদের ঘাটতি তথ্য দিতে সামর্থ হয়েছে। এদের বিষয়ে এখন মাঠপর্যায়ে খোঁজ নেবে ইসি।