বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

খুলনায় বৃক্ষমেলা জমে উঠেছে, বেচাকেনার শীর্ষে নিজাম নার্সারি

খুলনা অফিস / ৬০ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৩:০১ অপরাহ্ন

 

সৈকত মোঃ সোহাগ, খুলনা অফিস

বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার এবারের প্রতিপাদ্য “ পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি”। মেলায় ইতিমধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। বিক্রয়ের শীর্ষে রয়েছে নিজাম  নার্সারি। এ স্টলে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ফল, ফুল ও মসলা জাতীয় চারাগাছ।

বৃক্ষমেলার নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত জি এম রবিউল ইসলাম বলেন,  মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০টি। শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পর্যন্ত ১৭  হাজার ৬৮৬টি বৃক্ষ বিক্রি হয়েছে ২৫ লাখ ৭১ হাজার ৫৫ টাকায়।

১৯ জুলাই পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিক্রয় হয়েছে  নিজাম নার্সারিতে।নিজাম নার্সারির  মালিক মোঃ নিজাম  শেখ বলেন, ফলজ বৃক্ষের চাহিদা  সবচেয়ে বেশি এছাড়া ফুল গাছের চারা ও  বেশি বিক্রয় হচ্ছে। আমার নার্সারিতে গতকাল রাত পর্যন্ত ১১২৯ টি চারাগাছ বিক্রি হইছে যার মোট দাম ২লাখ ৬৪  হাজার ৫০০ টাকা।

মেলায় ৪০-২০০ টাকায়  যেসব চারাগাছ পাওয়া যাচ্ছে –
অধিকাংশ ফুলের চারার মূল্য ক্রেতার জন্য বেশ মানানসই। চায়না টগর ৪০-১৫০ টাকা, কাঠ টগর ৫০-২০০ টাকা, ডবল টগর ৫০-১০০ টাকা, চায়না টগর ৫০-১০০ টাকা। দেশি লাল ও গোলাপি জবা ১০০-১৫০ টাকা। দেশি ইরানি গোলাপ ১০০টাকা ও ইন্ডিয়ান গোলাপ ২০০ টাকা। লাল ও গোলাপি রঙ্গন ১০০-১৫০ টাকা। একজারা ফুল লাল ও গোলাপি ১০০-১৫০ টাকা। বাতাবি লেবু ১০০-২০০ টাকা। বল সুন্দরী ও নারিকেল বরই ১৫০-২০০ টাকা। আশফল ১৫০ টাকা। আশফল ১৫০ টাকা।

২০০-৫০০ টাকায় পাবেন যেসব চারাগাছ-
মালবেরি ২০০-২৫০ টাকা। ৫০-৩০০ টাকায় আম্রপালি। ১৫০-৩০০ টাকায় হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা আমের চারা। ডকমাই, ব্যানানা বিদেশি আম। থাই, পলি, গোল্ডেন ৮, মাধবী জাতের পেয়ারার চারার গড় মূল্য ২০০-২৫০ টাকায়। ডালিম এবং আনারের চারার মূল্য ২৫০-৩০০ টাকায়। লাল ও সবুজ আতার চারা ২০০-৫০০ টাকায়। দেশি ও থাই আমড়া চারার মূল ১৫০-৩০০ টাকায়। বারি ১ মাল্টা ১৫০-৪০০ টাকায়। পাকিস্তানি মাল্টা ৪০০-৫০০ টকায়। কাগজি লেবু ১০০-৫০০ টাকা, সিডলেস ১০০-৫০০ টাকা, গন্ধরাজ ১০০-৩০০ টকাঅ থাই ছফেদা ২০০-৪০০ টাকা, দেশি সফেদা ৩০০-৭০০ টাকা। লটকান ২৫০-৩০০ টাকা। চায়না লিচু ৩০০ টাকা ও মোজাফফর লিচু ২৫০ টাকা।

বাংলাদেশী খাবার একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় রন্ধনপ্রণালী যা এই অঞ্চলের ইতিহাস, ভূগোল এবং সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এলাচ, গোল মরিচ, আলুবোখরা, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গসহ হরেক রকমের ফুলের চারাগাছ। এলাচ ১৫০ টাকা। গোল মরিচ ৪০০-৫০০ টাকা। আলুবোখরা ৩০০-৪০০ টাকা। দারুচিনি ১৫০-২০০ টাকা। তেজপাতা ১৫০-২০০ টাকা। লবঙ্গ ৩০০-৪০০ টাকা।

৫০০- ১০০০ টাকা বা তার বেশি-
ভিয়েত নামি মাল্টা ২০০-৭০০ টাকায়। দেশি সফেদা ৩০০-৭০০ টাকা। থাই কদবেল ২০০-১২০০ টাকা। সর্বোচ্চ শরিফা (আতা) গাছের চারা ছয় হাজার টাকা।

বৃক্ষমেলার পরিবেশটাই এমন যে এখানে এলে মন ভালো হয়ে যায়। ফুলে-ফলে–লতাগুল্মে যেন এক সাজানো বাগান। প্রতিটি স্টলের ভেতরে, সামনের খোলা মাঠে থাকে থাকে সাজানো বিচিত্র রকমের গাছগাছালির সমাবেশ। চারদিকে সবুজের নিবিড় সন্নিবেশ। গাছের ডালে ডালে ঝুলছে লাল, হলুদ, সবুজ আম। কাঁঠাল, আমলকি, করমচার মতো দেশি ফল তো আছেই। ছাদবাগান করার জন্য মাঝারি ধরণের কাঠাল, সাদা জাম, ব্লাকবেঙ্গল জাতের মতো ফলও আছে।

যেসব চারাগাছ ক্রয় করতে পারবেন:
ফুলের কথা আলাদা করেই বলতে হবে। কত রঙের ফুল যে আছে মেলায় তার ইয়ত্তা নেই! রঙে রূপে সুশোভন করে তুলেছে তারা দৃশ্যপট। মেলায় তাদের সান্নিধ্যে এলে ঘুচে যাবে মনের মলিনতা। দেশি ইরানি গোলাপ ও ইন্ডিয়ান গোলাপ। লাল ও গোলাপি রঙ্গন। একজারা লাল ও গোলাপি । চায়না টগর, কাঠ টগর, ডবল টগর, চায়না টগর। দেশি লাল ও গোলাপি জবা। কামিনি, রক্তকরবী, হাসনাহেনা, শিউলি, গন্ধরাজ। সাদা, হলুদ ও লাল কাঠ গোলাপ। হাসনা হেনা, নাগচাঁপা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার পাতাবাহারের চারাগাছ।

আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, ডকমাই, ব্যানানা বিদেশি আম। থাই, পলি, গোল্ডেন ৮, মাধবী জাতের পেয়ারা। ডালিম এবং আনার, লাল ও সবুজ আতা, দেশি ও থাই আমড়া। ভিয়েত নামি মাল্টা, বারি ১ মাল্টা, পাকিস্তানি মাল্টা । কাগজি লেবু , সিডলেস, গন্ধরাজ, বাতাবি লেবু । থাই ছফেদা, দেশি সফেদা। বল সুন্দরী ও নারিকেল বরই । চায়না লিচু ও মোজাফফর লিচু। দেশি ও থাই জামরুল, নইল ফল, লাল আমলকি, থাই কদবেল, আশফল, লটকান ও মালবেরির চারাগাছ।

বিনা টিকেটে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে, কোনো টিকিটের প্রয়োজন নেই। গতবছর জুলাই আন্দোলনের কারণে প্রায় সপ্তাহখানেক টোটাল বেচাকেনা বন্ধ ছিলো। সে বছর ২৯ হাজার ২৫৬টি বৃক্ষের মূল্য ছিলো ৩৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৫০ টাকা।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host