সৈকত মোঃ সোহাগ, খুলনা অফিস:
খুলনা জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবুর বাড়িতে বোমা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। হামলার ঘটনায় দু’টি বিষয়ের দিকে নজর দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন রাতে রূপসা উপজেলার রাজাপুর পপুলার মোড় এলাকায় সোহাগের বাড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় সাব্বির নামের এক যুবক। ওই মামলার এজাহার নামিয় আসামি হাফিজ এবং জোতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এ গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে বিএনপি নেতা আবু হোসেন বাবুর চাচাতো ভাই শহীদুল ইসলামের ছেলে তানভীর আহমেদ তৌকিরকে সন্দেহ করে সন্ত্রাসীরা।
এছাড়া ফুফাতো ভাই জোতির সাথে তৌকিরের একটি অর্থনৈতিক লেনদেন ছিল। কি নিয়ে সেই লেনদেন সেটির বিষয়ে পুরোটা পরিস্কার করে বলতে পারেনি আইচাগাতি সেনেরবাজার এলাকার বাসিন্দারা। তবে সাংকেতিক চিহ্ন ‘মা’ বলেছেন তাদের অনেকেই সন্ত্রাসী। এ দু’টি ঘটনার জের ধরে দুর্বৃত্তরা তৌকিরের ওপর হামলা চালানোর জন্য আবু হোসেন বাবুর বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়।
সূত্র জানায় তৌকির রাস্তায় বের হয়ে বিষয়টি বুঝতে পেরে বিএনপি নেতা আবু হোসেন বাবুর বাড়িতে অবস্থান নেয় এবং তার ওপর হামলা করার জন্য মূলত বাবুর বাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করে। এ সময় বাবু বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
জানতে চাইলে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, দু’টি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করা হয়েছে। আশপাশের লোকজন কোন কিছু স্বীকার করছেনা। তদন্ত চলছে। সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে। বিএনপি নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশ একটি জিডি করেছে।
এদিকে বোমা ও গুলি বর্ষনের ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার বিকালে রপসায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি।