খুলনা ড্যাপস ক্লিনিক থেকে নবজাতক চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক নার্গিস বেগমকে (৫৫) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর রুপসা ইস্পাহানি গলিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নার্গিস বেগম বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার দিয়াপাড়া এলাকার মোঃ লিয়াকত আলীর স্ত্রী। এঘটনায় মামলা হয়েছে।
বিষয়টি আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড সিপি) খোন্দকার হোসেন আহমেদ।
তিনি জানান, খুলনা ড্যাপস ক্লিনিক থেকে জনৈক মির্জা সুজন (২৯) এর চারদিনের নবজাতক ছেলে শিশুটি চুরি হয়ে যায়। ওই ঘটনা পুলিশকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
পরবর্তীতে ওইদিন সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খুলনা সদরর থানা পুলিশ রুপসা ইস্পাহানি গলিতে অভিযান চালিয়ে নার্গিস বেগমকে গ্রেপ্তার করে। তার হেফাজত হতে চুরি হওয়া নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নবজাতক শিশুকে তার পিতার নিকট প্রদান করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। নবজাতক শিশুকে পেয়ে তার পরিবার সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড সিপি) আরো জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ওই নারী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে যে, একই ক্লিনিকের তৃতীয় তলায় আরেকজন নারীও একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এর আগে তার আরো চারটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পর পর পাঁচটি কন্যা সন্তান হওয়ায় তার স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন ক্লিনিকে তাদের দেখতে আসেনি। কাজেই ৫ কন্যার মাকে দিতেই সে ছেলে সন্তানটিকে চুরি করে ।