বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

সবজির নাম নিলে ৬০-৮০ টাকা

খুলনায় চালের বাজার চড়া, কাঁচামরিচে ডাবল সেঞ্চুরি

খুলনা অফিস / ৬৮ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
Oplus_16908288

সৈকত মোঃ সোহাগ, খুলনা  অফিস

খুলনায় চাল, ডাল, ভোজ্য সয়াবিনসহ সব ধরনের সবজির বাজারে কাটছে না অস্থিরতা। ভোজ্য সয়াবিন ও চালের বাজার চড়া। সবজির নাম নিলে ৬০ টাকা। বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, কাঁচামরিচে ডাবল সেঞ্চুরি। ব্যবসায়ীরা বলছেন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে এ পণ্যের দাম বেড়েছে। দুইদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের মূল্য কেজিপ্রতি অন্তত বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ থেকে দশ টাকা। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কৌশলে পকেট কাটছে ভোক্তাদের। বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করলে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আর এমনই মন্তব্য করেছেন একাধিক ভোক্তা।
শুক্রবার রাতে  নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি সাদা আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাল আলু ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, চায়না রসুন ২০০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, কুশি ৪০ টাকা, কচুরমুখি ৫০ টাকা, বরবটি ৭০থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

অথচ একমাস আগে প্রতিকেজি সাদা আলু ২৫ টাকা, লাল আলু ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৫০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না রসুন ২০০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাকরল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, করল­া ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা, কুশি ৩০ টাকা, কচুরমুখি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ী।

অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কাঁচকলা। প্রতিহালি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। উর্ধ্বমুখি হয়ে উঠেছে চালের বাজার। কোনো ভাবে কাটছে না অস্থিরতা। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্ণা) ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, আঠাশ বালাম ৬০ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট ভালোমানের ৭২ থেকে ৭৫ টাকা, মিনিকেট নিম্নমানের ৬৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ১০ এপ্রিল নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্ণা) ৫২ টাকা, আঠাশ বালাম ৬০ টাকা, মিনিকেট ভালোমানের ৭০ থেকে ৭২ টাকা, মিনিকেট নিম্নমানের ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা, বাসমতি ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত ১৮ মেপ্টেম্বর মোটা চাল (স্বর্ণা) ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, আঠাশ বালাম ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, মিনিকেট ভালোমানের ৬০ থেকে ৬২ টাকা, মিনিকেট নিম্নমানের ৫৬ থেকে ৫৭ টাকা, বাসমতি ৭০ থেকে ৭২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

কমছেনা মশুর ডালের দাম। মাসের পর মাস চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এ নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি। শ্রেণিভেড়ে এ পণ্যটি পছন্দ করেন অনেকে। অথচ খুলনার বাজারে প্রতিকেজি মশুর ডাল (সরু) ১৪০ টাকা ও মশুর ডাল (মোটা) ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কমছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্য সয়াবিন তেলের মূল্য। বাজারে বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৯১০ টাকা দরে। অর্থাৎ, লিটারপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮২ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন। খুচরা বাজারে প্রতিলিটার ১৮০ টাকা, সুপার তেল ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

অথচ গত ২০ জুন বোতলজাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা সয়াবিন (৫ লিটার) বিক্রি হচ্ছে ৮৭৫ টাকা দরে। লিটারপ্রতি যা বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা দরে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লুজ সয়াবিন। খুচরা বাজারে প্রতিলিটার ১৮০ টাকা, সুপার তেল ১৭৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ব্রয়লা ও কক মুরগির দাম কিছুটা স্বাভাবিক হলেও গরুর গোশের খুবই চড়া। বছরের পর বছর কেজিপ্রতি বিক্রি হয়ে আসছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে।
নগরীর ময়লাপোতাস্থ কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা সোহেল মাহমুদ  বলেন, সম্প্রতি কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে। তিনি বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের সরবরাহ রয়েছে। এর পরও এসব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। বাজার দর মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করলে হয়তো দাম নেমে আসবে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host