
আজাদুল হক,বাগেরহাট।
সোমবার ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত নয় বছরের ফাতেমা আক্তারকে মঙ্গলবার সকারে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় কবর দেওয়া হয়েছে। উপজেলার কুনিয়া গ্রামের কুনিয়া কওমী মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জানাজা শেষে ফাতেমাকে মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ফাতেমা আক্তার কুনিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী বনি আমিন শেখের মেয়ে এবং ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ফাতেমার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে তার স্বজন ও গ্রামবাসীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাকে এক নজর দেখার জন্য শতশত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করেন। তার মামা স্বপন মীর স্বপন মীর বলেন, বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার রাতে আমার ভগ্নিপতি কুয়েত প্রবাসী বনি আমিন শেখ দেশে ফেরেন। তার তিন ছেলে মেয়ে। আমার বোন দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে উত্তরায় থাকেন। ফাতেমা আক্তার সবার বড়। ফাতেমা মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ত। আর ছেলে ওমর শেখ প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী। ফাতেমা প্লে থেকে মাইলস্টোনে ভর্তি হয়। ছেলে ওমরকে এ বছর ভর্তি করা হয়েছে। ওরা দুই ভাইবোন প্রতিদিন এক সঙ্গে স্কুলে যায়। কিন্তু সোমবার আমার ভাগ্নের জ্বর হওয়ায় ফাতেমা একা স্কুলে যায়। আমার ভাগ্নির মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। তিনি বলেন, “সোমবার বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজধানীর সব হাসপাতালে খুঁজতে থাকি ভাগ্নিকে। কোথাও তার সন্ধান পাচ্ছিলাম না। পরে রাত ৯টার দিকে খবর পাই ফাতেমার মরদেহ ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে। সেখানে আমরা তাকে শনাক্ত করি এবং নিথর দেহটি মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে আসি।#