“শরণখোলা দর্পণ প্রতিবেদন”
পূর্ব সুন্দরবনের চরাপুটিয়ায় আরো একটি শুঁটকি রং ঘর (মাচা) খুঁজে পেয়েছে বনরক্ষীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বনরক্ষীরা চরপুটিয়া বনাঞ্চলে জব্দ করেছে ২ বস্তা শুঁটকি চিংড়ি,৩ টি নৌকা,৩ টি পানির ড্রাম,১ টি টোনা জাল। এ সময় দুর্বৃত্তরা বনের মধ্যে পালিয়ে যায় । এর আগে গত ১৫ জুলাই গাজীপুরা ভারানীর বনে একটি জ্বলন্ত রং ঘর ধংস করে বনরক্ষীরা। শুঁটকি চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দশ দিনের মাথায় আবারো শুটকির মাচা খুঁজে পাওয়ায় বন সংশ্লিষ্টদের ধারনা, শুঁটকি চক্র বনরক্ষীদের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও,র নির্দেশে ‘ চাঁদপাই রেঞ্জের চরাপুটিয়ার বিশেষ টহল টিমের বনরক্ষীরা বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে ড্রোন উড়িয়ে চরাপুটিয়ার শিয়ালা নদীর পশ্চিম পাশের একটি শিসা খালে প্রথমে বনের গভীরে ধোয়া দেখতে পান। ড্রোন ধোয়ার কাছে নিয়ে গেলে সাদা পলিথিনের মতো দেখতে পান বনরক্ষীরা। তখন বনরক্ষীরা দিক নির্ণয় করে প্রায় ১ কিলোমিটার হেটে সুন্দরবনের গভীরে গিয়ে একটি জ্বলন্ত রংঘর ( চিংড়ি শুঁটকি করার বিশেষ মাচা) দেখতে পায়। এ সময় সেখানে থাকা ৩/৪ জন দুর্বৃত্ত বনরক্ষীদের দেখতে পেয়ে সুন্দরবনের মধ্যে পালিয়ে যায়। বনরক্ষীরা রংঘর থেকে ২ বস্তা শুঁটকি চিংড়ি,৩ টি নৌকা,৩ টি পানির ড্রাম,১ টি টোনা জাল জব্দ করে চরাপুটিয়া ফরেষ্ট টহল ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। একটি দুর্বৃত্ত চক্র সুন্দরবনের খালে অবৈধভাবে চিংড়ি মাছ ধরে তা গোপনে বনের মধ্যে বানানো মাচায় শুটকি করে আসছে।
বস্তায় ভরা হচ্ছে জব্দ করা শুঁটকি চিংড়ি
পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা( ডি এফ ও) মোঃ রেজাউল করীম চৌধূরী “শরণখোলা দর্পণ”কে বলেন, চরাপুটিয়ার শিয়ালায় শুঁটকির রংঘর ধংস করার পরে অভিযান আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।।#