বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, দলটি সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি বাস্তবায়নের দাবি আদায় করেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। এ দাবির পক্ষে গণভোট আয়োজনের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কেআইবি থ্রিডি মিলনায়তনে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও নির্বাচন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অ্যাগ্রিকালচারাল ফোরাম অব বাংলাদেশ (এএফবি)।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাব, তবে পিআর পদ্ধতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেই যাব। এই দাবি অব্যাহত থাকবে। দাবি না মানলে আমাদের পরবর্তী করণীয় সময়মতো জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জনগণ এখন সচেতন। সবাইকে বাদ দিয়ে এককভাবে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ নেই। আমরা চাই গণভোট হোক—জনগণ যদি পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দেয়, তাহলে সব দলকে তা মানতে হবে।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন বলেন, ‘৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতি চায়। বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে আবারও একটি ফ্যাসিস্ট সরকার গঠনের ঝুঁকি তৈরি হবে।’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহা. ইয়ামিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং সেক্টরভিত্তিক বিশেষজ্ঞদেরও সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে।’
সেমিনারে জামায়াত সেক্রেটারি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত ‘জুলাই সনদ’-এ দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি সনদটি সংশোধন করে পুনরায় প্রকাশের আহ্বান জানান।
তিনি জানান, দলটি জুলাই সনদের বাস্তবায়নে একটি খসড়া রূপরেখা তৈরি করে সরকারকে দিয়েছে এবং প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করে বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই একটি দলের নেতারা সংস্কারের সব প্রস্তাব বাতিলের হুমকি দিচ্ছেন। যদি আগেই মুছে দেন, তাহলে ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন?’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এএফবি সভাপতি এ টি এম মাহবুব ই ইলাহী। বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক ফখরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।