দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে আবারও সারাদেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হলো ধারাবাহিক মূল্যায়নের পাশাপাশি সামষ্টিক মূল্যায়ন পদ্ধতি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিখন মান যাচাইয়ের জন্য ধারাবাহিক এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন উভয় পদ্ধতিই চালু রয়েছে। তবে ধারাবাহিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক কোন পরীক্ষা নেয়া হয় না বিধায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সকল শ্রেণীতে সামষ্টিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা। সোমবার (১৮ আগস্ট) কাউখালী উপজেলার ৬৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা আরম্ভ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর সমষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীতেও সামষ্টিক মূল্যায়ন চালু হলে তা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশের জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবে ।
কাউখালী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের বছরে তিনটি মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হলে শিক্ষার্থীরা অধিক আগ্রহের সাথে তাদের বইগুলো অধ্যয়ন করবে। যা তাদের জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
কাউখালী সদরের কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিথীকা সাহা বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হওয়ায়, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ সবাই খুশি হয়েছেন। সকল শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন।