আমরা অনেকেই মাঝেমধ্যে প্রচণ্ড মাথাব্যথায় ভুগি, আর তখনই বলি—“মাইগ্রেন ধরেছে।” কিন্তু প্রতিটি মাথাব্যথাই যে মাইগ্রেন নয়, তা জানা জরুরি। আসলে মাইগ্রেন একটি নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার, যার সঙ্গে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ ও কারণ।
এক পাশে (সাধারণত কপালের একপাশে) থাবা ধরা ধরনের ব্যথা
আলো ও শব্দে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা
বমি বমি ভাব বা বমি
দৃষ্টিস্বল্পতা বা চোখের সামনে ঝাপসা/আলো ঝলসানো অনুভব
ব্যথার আগে বা পরে মনমরা ভাব বা ক্লান্তি
কারও কারও ক্ষেত্রে ঘাড় ব্যথা বা গলা ভার
মাইগ্রেন হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো শতভাগ জানা না গেলেও কিছু নির্দিষ্ট ট্রিগার রয়েছে:
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ
ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত ঘুম
অনিয়মিত খাবার গ্রহণ
চকোলেট, চিজ, ক্যাফেইন বা চিপস জাতীয় খাবার
হরমোনের তারতম্য (বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের আগে-পরে)
জোরে আলো, শব্দ বা গন্ধ
অনেক সময় জিনগত প্রভাবও থাকে
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো ও জাগা
পানি বেশি পান করা
দীর্ঘ সময় না খেয়ে না থাকা
মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান বা হালকা ব্যায়াম
ট্রিগার বুঝে তা এড়িয়ে চলা
ব্যথা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই প্যারাসিটামল বা নির্ধারিত ব্যথানাশক খাওয়া যেতে পারে
যাদের বারবার হয়, তারা প্রতিরোধমূলক ওষুধ নিতে পারেন—তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যদি প্রতি মাসে একাধিকবার হয়
অনেক সময় চোখের সমস্যা, সাইনাস, এমনকি উচ্চ রক্তচাপ থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। তাই শুধু উপসর্গ দেখে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।
মাইগ্রেন যন্ত্রণাদায়ক হলেও সচেতন জীবনযাপন ও সময়মতো চিকিৎসায় এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই বারবার মাথাব্যথা হলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং নিজের শরীরকে বুঝে নিন।
na