আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেলাফত মজলিস মনোনীত খুলনা বিভাগের ৩২টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী নাম ঘোষণা করেছে দলটি। শুক্রবার বিকালে খুলনা নগরীর একটি হোটেলে মতবিনিময়ে সভার শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মো. সিরাজুল হক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে নায়েবে আমির অধ্যাপক মো. সিরাজুল হক খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৬টি আসনের মধ্যে ৩২টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে বাকি চারটি নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন ও সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আকাওয়াত হোসেনসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে বিগত ১৭ বছরের সকল প্রকার নির্যাতন, গুম ও খুনের সুষ্ঠু বিচার এবং অবৈধ টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার, পেশীশক্তি নিয়ন্ত্রণ ও সকল ক্ষেত্রে লেভেল প্লেইং ফিল্ড বজায় রাখার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে প্রশাসনিক সকল কর্মকর্তাদেও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ রাখার দাবিও জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে এ সময় জানানো জানানো হয় আগামী বছর ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে খেলাফত মজলিস স্বাগত জানিয়েছে; তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করার পাশাপাশি স¤প্রতি প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে সংশোধনের দাবি জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংএ বলা হয় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চালানো, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে অসংখ্য নিরীহ আলেম ওলামা ও ছাত্র জনতাকে রাতের আধারে গুলি করে হত্যা, ২০১৮ সালে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যাপক দমন পিড়ন চালানো, ২০২১ সালের মার্চ মাসে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর প্রাক্কালে সংঘটিত বিক্ষোভে ভারতীয় তাবেদার সরকার গুলি চালিয়ে ২১ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা ইত্যাদি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। অথচ এসব গুরুত্বপূর্ণ ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা অতীব জরুরী। এই সংশোধনীগুলো জুলাই ঘোষণাপত্রে না থাকলে তা হবে পূর্ণাঙ্গ, অভ্য্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী ও জাতির জন্য হতাশাজনক। তাই দলটি জুলাই ঘোষণাপত্রে অবিলম্বে সংশোধনের দাবি জানানো হয়।
এসময় এক প্রশ্নে জবাবে দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মো. সিরাজুল হক বলেন যদি জোটবদ্ধ নির্বাচন হয় তাহলে পরবর্তীতে প্রার্থী ঘোষণার এই হিসেব-নিকেশ বদলে যাবে। তখন শরীকদলগুলোর সঙ্গে বসে নতুনভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে।