বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনায় মৃত ৬জন সরকারি কর্মচারীর পরিবারকে ৪০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর মোল্লাহাটে মহাসড়কে যুবককে গুলি শরণখোলায় বিপুল উৎসাহ ও আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গা উৎসব এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা নিয়ে সুখবর ২২ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদানের দাবিতে খুলনায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন  গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে:-শেখ মোস্তাফিজুর রহমান খুলনায় ঘুমন্ত অবস্থায় যুবককে গুলি করে হত্যা পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে নিহত জেলের লাশ উদ্ধার মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণ  সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাজিম উদ্দিন আলম

কোমর ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়

অনলাইন ডেস্ক / ৩০ বার পড়া হয়েছে
সময়ঃ রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ৫:২২ অপরাহ্ন

বর্তমানে অনেকেই দীর্ঘ সময় ডেস্কে বসে কাজ করেন, যার প্রভাব পড়ে শরীরের নানা অংশে। বিশেষ করে কোমর, হিপ ও পায়ে ব্যথার অভিযোগ দিনে দিনে বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই এই ব্যথা সাধারণ না হয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এর একটি অন্যতম কারণ হতে পারে ‘পিরিফর্মিস সিনড্রোম’।

পিরিফর্মিস হলো হিপ বা বাটকের ভেতরে একটি গভীর মাংসপেশি, যা সায়াটিক নার্ভের কাছাকাছি অবস্থান করে। যখন এই মাংসপেশি টাইট বা প্রদাহগ্রস্ত হয়ে যায়, তখন তা নার্ভে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে কোমর থেকে পায়ে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। একে ‘সায়াটিকা’ও বলা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীরা এই সমস্যায় ছয় গুণ বেশি ভোগেন।

কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে:

  • গ্লুটিয়াল অঞ্চলে আঘাত

  • পিরিফর্মিস মাংসপেশি টাইট হয়ে যাওয়া

  • প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন

  • দীর্ঘসময় মানিব্যাগ পকেটে রাখা

  • ড্রাইভার, বাইকার বা টেনিস খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত ঝুঁকি

লক্ষণ:

  • কোমর, হিপ, হ্যামস্ট্রিং এবং পায়ের মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা

  • একপাশে বসলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা বাড়ে, হাঁটলে কমে

  • পায়ে অবশভাব, ফোলা বা ভারী লাগা

  • যৌনজীবনে ব্যাঘাত

  • পায়ের বাইরের পাশ দিয়ে ব্যথা নিচের দিকে নেমে যেতে পারে

চিকিৎসা:

১. ওষুধ: ব্যথা কমাতে NSAIDs, নার্ভজনিত ব্যথার জন্য নিউরোপ্যাথি ওষুধ ও মাসল রিলাক্স্যান্ট ব্যবহৃত হয়।

২. ফিজিওথেরাপি: প্রধান ও কার্যকর চিকিৎসা। সপ্তাহে ২-৩ দিন, দুই মাস নিয়মিত থেরাপি নিলে ৬০-৭০ শতাংশ রোগী পুরোপুরি সেরে ওঠেন। হট প্যাক, কোল্ড স্প্রে, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, স্ট্রেচিং ও স্ট্রেনদেনিং এক্সারসাইজ এর অংশ।

৩. ইনজেকশন থেরাপি: স্টেরয়েড বা বটুলিনাম টক্সিন ইনজেকশন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়।

প্রতিরোধের উপায়:

  • প্রতি ২০-৩০ মিনিট পরপর উঠে দাঁড়ানো বা হাঁটা

  • গাড়ি চালানোর সময় বিরতি নিয়ে স্ট্রেচিং করা

  • ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং অভ্যাস গড়ে তোলা

  • পকেটে মোটা মানিব্যাগ না রাখা

  • শরীরের ভঙ্গিমা ঠিক রাখা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরির আরো খবর
Theme Created By AR.Host