গত এক বছরে দেশের স্বাস্থ্য সেবা ১০ ভাগ নীচে নেমে গেছে। এই ভয়াবহ তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডাঃ রেজওয়ানুর রহমান। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দায়ি করে বলেন, এ সময়টি দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না, যার কারণে স্বাস্থ্যসেবার মান নিম্নমূখী হয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনা জেলা সিভিল সার্জনের সভা কক্ষে জেলা নিউট্রেশন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাথে রাইটটুগ্রো প্রকল্পের লার্নিং শেয়ারিং মিটিং এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনএনসি এর ডিজি ডাঃ রেজওয়ানুর রহমান আরো বলেন- জাতীয় নিউট্রেশন পরিকল্পনা- ৩ এ ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি নিউট্রিশন কো অর্ডিনেশন কমিটি গঠনের বিষয়টি সুপারিশ আকারে আনা হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোড় গোড়ায় পৌছে দিতে জনপ্রতিধিদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। মা ও শিশু মৃত্যু কমিয়ে আনার পাশাপাশি শিশুদরকে পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। গ্রামে পুষ্টি নিয়ে কাজ করা হলেও শহরে খুব বেশি কাজ হয়নি। শহরে ৪০% শিশু বসবাস করে। অথচ তাদের খবর রাখা হয়না। কাজেই সব জায়গায় কাজ করতে হবে।
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোছাঃ মাহফুজা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাইট টু গ্রো কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন কনসোর্টিয়াম টিম লিড ইকবাল আজাদ। প্রকল্পের আওয়তায় ডুমুরিয়াতে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রকল্প সমন্বয়কারী ইসরাত হাসান।
বিএনএনসি এর উপ পরিচালক ডাঃ আক্তার ইমাম বিভিন্ন কার্যক্রম ও বাংলাদেশের পুষ্টির চিত্র তুলে ধরেন। বিএনএনসির আরও একজন উপ পরিচালক ডাঃ ফারজানা রহমান চাইল্ড প্রোফাইল ইস্টিমেশন ও কস্টিং মডেল টুলের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
ডুমুরিয়ার ৫ নং আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেন- বাজেট থেকে শুরু করে শিশুর পুষ্টির অবস্থা নিরুপণ সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে রাইটটুগ্রো প্রকল্পের সিএসও সদস্যরা সহায়তা করছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মত যদি ইউনিয়নেও একটি পুষ্টি কো অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা যায় তাইলে আমাদের কাজ ও জবাবদিহিতা বাড়বে।
বিএনএনসির পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন রাইট টু গ্রো প্রকল্প এলাকায় যে কাজ গুলো করছেন আসলে এটাই আমাদের কাজ। ইউনিয়ন পরিষদকে আমরা যত কাজই করতে বলি না কেন, ইউনিয়ন পরিষদের লোকবল ও বাজটের সংকট রয়েছে।
দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রশান্ত ত্রিপুরা বলেন- প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা গুলো যেন লিপিবদ্ধ থাকে যাতে করে যে কেউ এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারেন।
সভায় দি হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জামিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম, পিও গিয়াস উদ্দীন, এনএন্ডই প্রদীপ সরকার, ইউএফ সামিউল আলম ও ইউএফ মাসুদ পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সভায় বিএনএনসির সদস্যসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।