খান মোঃ নাসির উদ্দিন, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে বলেশ্বর নদীর পাড়ের বেরিবাঁধের মেহগনি ও চম্বল ২২টি গাছ বিক্রি করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীরা। কেটে নেওয়া গাছের বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষাধিক টাকা বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। উপজেলার ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের কলারন ফেরিঘাট থেকে শ্যামলী নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট পর্যন্ত বেরিবাঁধের দু,পাশে এসব গাছ কাটা হয়েছে। খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে কেটে নেয়া গাছের গোড়াগুলো পড়ে আছে। স্থানীয়দের সহায়তায় কেটে নেওয়া ২২ টি গাছের গোড়া পাওয়া গেছে। তারা জানান চন্ডিপুর বিএনপির সহ- সভাপতি জলিল জোমাদ্দার, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামাল জোমাদ্দার, বিএনপি কর্মী হালিম জোমাদ্দার ও আনিস জোমাদ্দার ব্যাপারীদের কাছে গাছগুলো বিক্রি করেছেন। গাছের বেপারী রাসেল হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন উল্লেখিত বিএনপি নেতারা তার কাছে ৯টি গাছ বিক্রি করেছেন। তাই তিনি গাছগুলো কেটে নিয়েছেন। অবশ্য গাছ কাটার শ্রমিক ইদ্রিস জোমাদার ১১ টি গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জামাল জোমাদ্দার ছয়টি গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন এই গাছগুলো পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির মাধ্যমে আমরা লাগিয়েছি তাই আমরা কেটেছি।
বন বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাছ কাটার অনুমতি আছে কিনা এবং টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে না পেরে স্থানীয় বিএনপির দুজন সিনিয়র নেতার মাধ্যমে একাধিকবার সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জনাব রাশেদ খান জানান বেড়িবাধের গাছ কাটা সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। আমি এখনই একজন উপ-সহকারি. প্রকৌশলীকে বিষয়টি দেখার জন্য পাঠাচ্ছি।