পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা পর্যটন কেন্দ্রের নদীতে নোঙ্গর করে আছে পর্যটকবাহী জাহাজ।
ষ্টাফ রিপোর্টার :
তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরে জেলে ও পর্যটকদের পদচারণায় এখন মুখরিত পূর্ব সুন্দরবন। সোমবার একদিনে কটকা পর্যটন কেন্দ্রে তিন শতাধিক পর্যটকের আগমন ঘটে। অপরদিকে,গত দু’দিনে ৮ শতাধিক জেলে সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে গেছেন।
পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের অন্যতম পর্যটন স্পট কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার মোঃ মতিউর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বলেন, কটকা পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকের পদচারণায় আবার মুখরিত হয়ে উঠেছে। তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার প্রথম দিন সোমবার ( ১ সেপ্টেম্বর) কটকায় ৪টি জাহাজে করে তিন শতাধিক পর্যটক আসেন। এখানে পর্যটকেরা জামতলা সী-বিচে সমুদ্র অবলোকন শেষে ওয়াচটাওয়ারে উঠে হরিণের পাল,বানরসহ বণ্যপ্রাণী এবং সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সন্ধ্যায় পর্যটকেরা কটকা থেকে চলে গেছেন। আরো ৩/৪ শ পর্যটক কটকার পথে জাহাজে রয়েছেন বলে তিনি জেনেছেন। এ সকল পর্যটকবাহী জাহাজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কটকায় পৌছাবে বলে ঐ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মাছ ও বণ্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ জুন থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত সুন্দরবন বিভাগ সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশে তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা জারী করে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা ফরেষ্ট রেঞ্জার মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, সুন্দরবনে তিন মাসের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরেছে। সোম ও মঙ্গলবার সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরার তিন শতাধিক পাশ (অনুমতি পত্র) ইস্যু করা হয়েছে। এ সকল পাশ নিয়ে প্রায় ৮ শতাধিক জেলে জাল ও নৌকা ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনে গেছেন। জেলেদের সার্বিক নিরাপত্তায় বনরক্ষীরা তাদের সার্বক্ষনিক টহল কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে ষ্টেশন কর্মকর্তা জানান।##