
সৈকত মোঃ সোহাগ খুলনা অফিস:
খুলনায় জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ খুরনার নেতা-কর্মীরা। তবে পুলিশী তৎপরতায় তারা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। বিক্ষোভকারীরা প্রধান ফটকের সাইন বোর্ড ভেঙ্গে দেয়। তখন পুলিশ লাঠি চার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গণ অধিকার পরিষদের দাবি পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও লাঠিচার্জে তাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার বিকাল ৫টায় নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জাতীয় পার্টির খুলনা জেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু বলেন, আজ সারাদিন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা অফিসেই অবস্থান করছিলেন। আসরের আজান হওয়ার কিছু সময় পর অধিকাংশ নেতা-কর্মী পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এই সুযোগে ৫০-৬০ জনের গণ অধিকার পরিষদের একটি বিক্ষোভ মিছিল কার্যালয়ের সামনে এসে মারমুখি অবস্থান নেয়। তখন আমরা অফিস থেকে বেরিয়ে সামনের দুটি ফটকে তালা লাগিয়ে দেই। এসময়ে বিক্ষোভকারীরা গেট ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরমধ্যে একটি গেট ভেঙ্গে ফেলতে পারলেও অপরটি ভেঙ্গে প্রবেশ করতে পারেনি। সাইন বোর্ডটি ভেঙ্গে দেয়। তখন পুলিশ তাদের লাঠি চার্জ ও ধাওয়া করে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়।
প্রতক্ষ্যদশীরা জানায়, জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা যাওয়ার সময় সম্মুখ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

Oplus_16908288
এদিকে জাতীয় পার্টি অফিসে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হামলার বিষয়টি স্বীকার করে পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক এসকে রাশেদ বলেন, মিছিল নিয়ে আমাদের ছেলেরা ডাকবাংলোর জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে গেলে সেখানে অবস্থানরত জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী এবং পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় গণঅধিকার পরিষদের অন্তত: ১৫/২০জন নেতাকর্মী আহত হন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করেছিলেন বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে লনা মেট্রোপলিটন পুলিশের-কেএমপি’র সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, গণঅধিকার পরিষদের কিছু নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল সহকারে ডাকবাংলাস্থ জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে আসে। তারা সেখানে বিশৃংখলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির অফিসের সাইন বোর্ডটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।