জুমার দিনকে ইসলামে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন এবং সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মুসলিমদের জন্য জুমার জামাতে অংশগ্রহণ করা ওয়াজিব বা অপরিহার্য। হাদিসে ইচ্ছাকৃতভাবে জুমা ত্যাগ করার কঠিন শাস্তির কথা এসেছে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন—
> “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন।”
(বুখারি ১০৫২; তিরমিজি ৫০২; মুসলিম ১৯৯৯)
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন—
> “যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা ত্যাগ করে, সে ইসলামকে পিছনে নিক্ষেপ করল।”
(মুসলিম)
যাদের জন্য জুমা না পড়লেও গুনাহ নেই। হাদিসে চার শ্রেণির মানুষের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে—
1. ক্রীতদাস
2. নারী
3. অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক
4. মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তি
(আবু দাউদ)
জামাতে উপস্থিত না হলে করণীয়ঃ
যদি বৈধ কারণে জুমার জামাতে অংশ নেওয়া সম্ভব না হয়, তবে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে হবে। কারণ, একা একা জুমার নামাজ আদায় করা যায় না। জুমার জন্য ইমামসহ অন্তত তিনজন উপস্থিত থাকা শর্ত।
ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন—
> “যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেয়ে যায়, সে যেন আর এক রাকাত পড়ে নেয়। কিন্তু দ্বিতীয় রাকাতের রুকু না পেলে, সে যেন জোহরের চার রাকাত পড়ে নেয়।”
(ইবনে আবী শাইবা, ত্বাবারানী, বায়হাকী, আলবানী: ৬২১)