সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে কোরিওগ্রাফার অ্যাডলফ খানের বেশ কয়েকটি ছবি। সেই সব ছবির সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, তিনি নাকি দেশের ‘সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষের অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। বিষয়টি ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
মূলত, একটি শোবিজ অনুষ্ঠানে অ্যাডলফ খানকে ‘সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর’ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। তবে সেটিকে ‘সুদর্শন পুরুষের পুরস্কার’ বলে সামাজিক মাধ্যমে ভুলভাবে প্রচার করা হলে বিরক্তি প্রকাশ করেন এই কোরিওগ্রাফার।
ফেসবুকে একটি পোস্টে অ্যাডলফ খান লেখেন—
“আমি একজন শিক্ষিত, সচেতন ও স্পষ্টভাষী মানুষ! আমি কখনও বলিনি, আমি দেশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ। তবে হ্যাঁ, আমি আল্লাহপ্রদত্ত বিশেষ মেধাসম্পন্ন একজন মানুষ। আল্লাহ আমাকে জ্ঞান-বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব, সরলতা, উদারতা এবং অন্যকে ভালোবাসার শক্তি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।”
তিনি আরও লিখেছেন—
“কখনও কেউ বলতে পারবে না, আমি কারও সঙ্গে মুখে হাসি ছাড়া কথা বলেছি। যারা ভুল সংবাদ ছড়িয়েছেন, আমার বাবার অসুস্থতার সময় আমাকে বিব্রত করেছেন, তারা আসলে উপকার করেছেন নাকি অপকার—তা তাঁদের বিবেকেই ছেড়ে দিলাম।”
অ্যাডলফ জানান, তিনি বরাবরই ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনার মানুষ ছিলেন এবং কারও মতো হতে চান না, বরং ‘শুধু অ্যাডলফ খান’ হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
২০০৮ সালে র্যাম্প মডেল বুলবুল টুম্পার একটি গ্রুমিং স্কুলের মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখেন অ্যাডলফ। র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজের পাশাপাশি নায়িকা নিপুণের একটি ছবিতে স্টাইল ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন তিনি। পরবর্তীতে নিজেকে কোরিওগ্রাফার এবং ফ্যাশন ডিরেক্টর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পোশাক ও স্টাইলিং নিয়ে ইতিপূর্বেও নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। তবে এবারের ‘সুদর্শন পুরুষ’ বিতর্কে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন অ্যাডলফ খান।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ