মহিদুল ইসলাম,
শরণখোলার আমড়াগাছিয়া থেকে তাফালবাড়ী পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ১২ কিলোমিটার এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের দুই পাশ ভেঙে সরু হয়ে গেছে। বেশির ভাগ স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। অনেক সময় এসব গর্তে যাত্রী ও পণ্যবোঝাই যানবাহন ফেসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সড়ক। ভারী যানবাহন নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় চালকদের।
সাইনবোর্ড থেকে শরণখোলা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার। ২৪ ফুট প্রসস্থ সড়কটির শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া কাঠের পুল থেকে তাফালবাড়ী শাম বেপারীর বাড়ির সামনের ব্রিজ পর্যন্ত এই অংশের প্রস্থ ১৮ ফুট। সড়কের এই সরু অংশটুকু প্রসস্থ করা না হলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের পাশাপাশি বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শরণখোলা থেকে প্রতিদিন দূরপাল্লা (ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা) এবং স্থানীয় রুটে শতাধিক বাসসহ যাত্রীবাহী আরো বিভিন্ন যানবাহন নিয়মিত আলাচল করে। এছাড়াও বিভিন্ন কম্পানী ও ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী আরো অসংখ্য ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকাপ চলে এই সড়ক দিয়ে। ফলে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে অপ্রসস্থ সড়কটির এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শরণখোলা বাস টার্মিনালের ফালগুনী পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক মো. রিপন বয়াতী, শরণখোলা ট্রাভেলসের কাউন্টার পরিচালক মো. মেজবাহ উদ্দিন হাইউন ও বিআরটিসির কাউন্টার পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সড়কের অবস্থা খবই খারাপ। একারণে এখানে ভালো কোনো পরিবহন আসতে চায় না। প্রতিনিয়ত ডেমারেজ দেওয়ায় এই রুট থেকে অনেক পরিবহন তুলে নিয়ে গছে মালিকরা। সড়কটি দ্রুত সংস্কারসহ প্রসস্থ করা না হলে ধীরে ধীরে শরণখোলা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।
হা-মীম পরিবহনের চালক মো. মোজাহিদ ও শরণখোলা ট্রাভেলসের চালক আফসার মিয়া বলেন, ঢাকা থেইকা শত শত কিলোমিটার পথ পার হইয়া আমড়াগাছিয়া আইসাই বিপদে পইড়া যাই। রাস্তার যা অবস্থা তাতে গাড়ি চলার কোনো উপায় নাই। টান মারলেই পাশের খাদে পইড়া গাড়ি কাইত হইয়া যায়। তহন ভয়ে যাত্রীরা চিল্লাপাল্লা শুরু করে। গর্তে পইড়া প্রতিদিনই গাড়ির কমবেশি ক্ষতি হয়। ভাঙা রাস্তা দিয়া গাড়ি চালাইতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। রাস্তা দ্রুত মেরামত না হইলে শরণখোলায় ভালো কোনো পরিবহন ঢুকবো না।
শরণখোলা উপজেলা শহর রায়েন্দা বাজারের ব্যবসায়ী এবং সরকারি সার ও বীজ ডিলার স্বপন কুমার নাগ, মো. শহিদুল ইসলাম ও মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, সামনে আমন মৌসুম। এখন প্রায়ই সার-বীজ নিয়ে গাড়ি ঢুকবে। সড়কের বেহাল অবস্থা দেখার পর দ্বিতীয়বার কোনো গাড়ি আসতে চায় না। তখন অতিরিক্ত ভাড়া চুক্তি করে আনতে হয় চালকদের। এবারও আমাদের সেই ভোগান্তি পোহাতে হবে।
বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ শিগগিরই মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, সাইনবোর্ড থেকে শরণখোলা পর্যন্ত সড়কের উন্নয়নে পূর্বে একটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। সেটি এখন ছোট আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সড়কের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে। ##
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ