পেটের মেদ কমাতে কত কিছুই না করি! কেউ ডায়েট করেন, কেউ ব্যায়াম করেন, কেউ আবার মিষ্টি, ভাজাভুজির মতো খাবার পুরোপুরি বর্জন করেন। তবু অনেক সময় পেটের মেদ কমে না, পুরনো জিন্স আটকে যায় কোমরে! এমন অবস্থায় প্রয়োজন আরও কিছু সচেতন অভ্যাস গড়ে তোলা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ডায়েট ও শরীরচর্চা যথেষ্ট নয়। অন্ত্রের (gut) স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে হজম ব্যাহত হয় এবং শরীর মেদ জমিয়ে রাখতে শুরু করে। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি।
চলুন জেনে নিই, কোন তিনটি অভ্যাস পেটের মেদ কমাতে কার্যকরভাবে সাহায্য করতে পারে:
অনেকেই রাত ১০টার পর ভারী খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এতে হজম ও বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, ফলে সহজেই মেদ জমে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, রাত ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে হালকা খাবার যেমন স্যুপ, সালাদ বা ভাপানো সবজি খেয়ে নেওয়া ভালো। এতে হজমের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।
শরীরের বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গরম পানি হজমে সহায়ক, আর ঠান্ডা পানি বিপাকের গতি কমিয়ে দেয়। দিনে একটু একটু করে গরম বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করলে হজম শক্তি বাড়ে, পেটের মেদ কমানো সহজ হয়।
নিয়মিত কিছু ভেষজ ও গরম প্রকৃতির মশলা শরীরের টক্সিন দূর করে এবং বিপাকক্রিয়া সক্রিয় রাখে।
উদাহরণ:
আদা, গোলমরিচ, দারচিনি, হলুদ
ত্রিফলা (আমলকি, হরিতকি, বহেরা)
মেথি ও জিরা
এসব উপাদান হজমে সহায়ক এবং শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
শুধু ডায়েট নয়—অন্ত্রের স্বাস্থ্য, হজম এবং বিপাকক্রিয়ার সঠিকতা ওজন কমাতে মুখ্য ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের রুটিনে এই ছোট কিন্তু কার্যকর অভ্যাসগুলো যুক্ত করলে সহজেই মিলতে পারে পেটের মেদ ঝরানোর কাঙ্ক্ষিত ফল।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ