মালয়েশিয়ার একটি পতিতাপল্লী থেকে বাংলাদেশি ১০ নারীকে উদ্ধার করেছে কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম)। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে আরও চার নারীকে। জেআইএম ধারণা করছে তারা জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির শিকার হয়েছেন।
জেআইএম কুয়ালালামপুরের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে অপ প্যান্টাস (এটিআইপি) অভিযান চালানো হয়, প্রাথমিক তদন্তে মানবপাচার বিষয়ক নির্দেশিকা (এনজিএইচটিআই ২.০) ব্যবহার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধার করা ভুক্তভোগীদের বয়স ১৮ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে, যার মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি নারী, তিনজন ভারতীয় ও একজন ইন্দোনেশিয়ান।’
‘ভুক্তভোগীদের একজন দাবি করেছেন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তার প্রেমিক তাকে ‘বিক্রি’ করে দিয়েছে। তারপর সেখানে তাকে পতিতাবৃত্তির জন্য বাধ্য করা হয়েছিল’- বলেন জেআইএমের এই কর্মকর্তা।
এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ বলেন, ‘অভিযানের সময় বেশ কয়েকজন খদ্দের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল।’
তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে পতিতালয়টি সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং পথচারীদের খদ্দের হিসেবে টার্গেট করে।
এ ঘটনায় ২০০৭ সালের মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইনের ১২ ধারার অধীনে তদন্তে সহায়তা করার জন্য তিনজন স্থানীয় ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেআইএমের বিবৃতিতে জানানো হয়, অভিযানে সেখানে থাকা ১৬ জন পুরুষ খদ্দেরকেও আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯ জন নেপালি, দুইজন বাংলাদেশি এবং পাঁচজন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন।
দর্পণ/এম এ
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ