নাসির উদ্দিন, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
ভারপ্রাপ্ত আর অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দিয়েই চলছে ইন্দুরকানী উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম। উপজেলা প্রশাসনের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ন দপ্তরে কর্মকর্তা না থাকায় প্রশাসনের কাজকর্ম স্থবির হয়ে আছে। কোন কোন দপ্তর বছরের পর বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত বা অতিরিক্ত কর্মকর্তা দিয়েও চলছে। ফলে সেবাগ্রহীতারা উপজেলায় এসে কাঙ্খিত সেবা বঞ্চিত হয়ে দিনের পর দিন ঘুরছে।
ইন্দুরকানী উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, তথ্য সেবা কর্মকর্তা এবং আইসিটি কর্মকর্তাসহ মোট ১৩ জন কর্মকর্তার পদ শূন্য। এ ছাড়াও ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মদ আলী সম্প্রতি ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তদস্থলে এ উপজেলায় অন্য কোন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়নি। তিনি শিঘ্রই সেখানে যোগদান করবেন।
শুন্য এসব পদগুলোর মধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার , শিক্ষা কর্মকর্তার স্থলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করছেন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কাউখালী উপজেলার কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। উপজেলা প্রকৌশলী পদে পিরোজপুর সদর উপজেলার কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এই দুটি পদে সহকারী কর্মকর্তারা ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা পদে নাজিরপুর উপজেলার কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদে পিরোজপুর সদর উপজেলার কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পদে বরগুনা সদর উপজেলার কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। পরিসংখ্যান কর্মকর্তার পদে সহকারী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তথ্য সেবা কর্মকর্তার পদে কাউখালী উপজেলার কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন এবং আইসিটি কর্মকর্তার পদে ভান্ডারিয়া উপজেলার কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। অন্য উপজেলা থেকে যে সব কর্মকর্তারা এসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন তারা সপ্তাহে দুই এক দিনের বেশি আসেন না।
ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মদ আলী বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অনেকগুলো দপ্তরে কর্মকর্তার পদ শুন্য আছে। এসব পদে পদায়নের জন্য আমি জেলা প্রশাসক স্যারের মাধ্যমে এবং জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় একাধিক বার প্রস্তাব করেছি। ”
ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেন, গত বছর ৫ আগষ্টের পর এই উপজেলার নাম জিয়ানগর পুনর্বহালের জন্য আমি স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা মহোদয়ের কছে আবেদন জমা দিয়ে এসেছি। তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। উপজেলা পরিষদের ১৩টি দপ্তরে যদি কর্মকর্তা না থাকে তাহলে মানুষ সেবা পাবে কিভাবে? আমি উন্নয়ন বঞ্চিত এই উপজেলায় সকল শূন্য পদে কর্মকর্তাদের পদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
[
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ