মাহমুদ হাসান, মোংলা প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরে নৌ-বাহিনীর হাতে আটক ভারতীয় জেলেদের মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মোংলা থানা পুলিশ।
বঙ্গোপসাগরের গভীরে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে নৌবাহিনীর নিয়মিত টহলদানকালে “সমুদ্রে নৌবাহিনীর জাহাজে থাকা নৌসেনারা এ সকল জেলেদের ধাওয়া করে দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ জেলেকে আটক করে সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনিসুর রহমান বলেন,আটক ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের সমুদ্রে সীমা লংঘন ও সামুদ্রীক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় পৃথক দুইটি মামলা দায়েরের পর তাদের বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ইলিশ প্রজনন মৌসুম থাকায় সাগর ও সমুদ্রে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠে ভারতীয় জেলেরা। তারা বাংলাদেশী সীমানায় এসে ইলিশ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ মৌশুমের প্রথম সোমবার রাতে নৌবাহিনীর সদস্যরা টহলরত জাহাজে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার আনুমানিক ৭৫ নটিক্যাল মাইল দুরে দেশীয় জল সীমার উত্তর পশ্চিম কোন এলাকায় টহলদানকালে বেশ কয়েকটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার বাংলাদেশের জল সীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে দেখতে পায়। এসময় বাংলাদেশের টহলরত মোংলা নৌ-কন্টিজেন্ট’র নৌ-সেনারা তাদের ধাওয়া করে আটক করতে গেলে ট্রলার ও জাল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের সীমানায় যাওয়ার আগেই পিছন থেকে “এফবি ঝড়” ও “এফবি মঙ্গল চন্ডি-৩৮” নামের ভারতীয় দুইটি ফিশিং ট্রলার ও ৩৪ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে মোংলায় নিয়ে আসে। আটক এ সকল জেলেদের বাড়ী ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদীপ সহ বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত তিন বছরে মৎস্য প্রজনন মৌশুমে মোট ১৭টি ফিশিং ট্রলার সহ ২২৬ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। তবে আটক এসকল জেলেদের ভারতীয় সরকারের সহায়তায় সকলেই জামিনে মুক্তি পেয়ে স্বদেশে চলে গেছে বলে জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ