প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ২, ২০২৫, ১২:৩৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৩১, ২০২৫, ৭:৫৯ পি.এম
প্লাস্টিক ও পলিথিন দিনে দিনে সুন্দরবন আরো বেশী বিপদের সম্মুখীন

খুলনায় সুন্দরবন সুরক্ষায় যুব সম্মেলনে বক্তারা
সৈকত মোঃ সোহাগ, খুলনা অফিস:
প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক ও পলিথিনের কারণে আমরা কিছু মানুষ সুবিধা পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু জীব জগৎকে আমরা সাংঘাতিকভাবে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছি। যা দিনে দিনে সুন্দরবনকে আরো বেশী বিপদের সম্মুখীন করছে। প্লাস্টিক দুষণ বন্ধ করি, সুন্দরবন রক্ষা করি, এই শ্লোগানে খুলনায় অনুষ্ঠিত সুন্দরবন অঞ্চলের প্লাস্টিক ও পলিথিনের আগ্রসন বন্ধের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলন রূপান্তর-এর নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, হেলভেটাস বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রাম শাহরিয়ার মান্নান এবং বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ। অনুষ্ঠানে উদ্দীপনামূলক সেশন পরিচালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান। এসময় একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তৃতা দেন সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের ডিএফও এ জেড এম হাসানুর রহমান, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, জার্নালিস্টস ফর সুন্দরবন ফোরামের এইচ এম আলাউদ্দিন (খুলনা), মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল (সাতক্ষীরা), খালিদ মাহমুদ (পিরোজপুর) এবং মুনীর হোসেন কামাল (বরগুনা), পরিবেশকর্মী ও মোংলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূর আলম শেখ এবং রিসাইকেল জার-এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুন্দরবন একাডেমি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। স্বাগত বক্তৃতা করেন রূপান্তর-এর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন। তরুণদের পক্ষ থেকে বক্তৃতা করেন মোঃ শাহীন খলিফা এবং খাদিজা আক্তার সাথী।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে সুন্দর সুরক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে। গত পাঁচ বছরে সুন্দরবনে কার্বন ধারণের পরিমাণ বেড়ে চার দশমিক শূন্য ছয় মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। ২০১৪ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি ২০২৪ সালে এই সংখ্য বেড়ে ১২৫টিতে পৌঁছেছে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ থাকলে সুন্দরবনকে পলিথিনমুক্ত করা অবশ্যই সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে বেশী ট্যুরিস্ট যে দু’টো স্পটে গিয়ে থাকেন সেই করমজল এবং হারবারিয়াকে লক্ষ্য করে কার্যক্রম পরিচালনা করলে অচিরেই তা’ সফল হওয়া সম্ভব হবে। সুন্দরবন প্রভাবিত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর ও বরগুনা পাঁচ জেলার ১৭ উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কর্মরত “ইয়ুথ ফর দি সুন্দরবন”-এর ৫৩০ জন যুবককে সরকারি স্বীকৃতি দিতে তাদের বন বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য খুলনার বন সংরক্ষকের প্রতি নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যদি সঙ্গে না থাকেন তাহলে সুন্দরবনকে সুরক্ষিত করা বন বিভাগের একার পক্ষে সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে সুন্দরবন সুরক্ষায় ১৭ দফা’র “খুলনা ঘোষণা” অনুমোদন করা হয়। ১৭ দফার খুলনা ঘোষণা উপস্থাপন করেন কর্ণ বিকাশ কেডি এবং লাবনী আক্তার। স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা হেলবেটাস ও ডিআইজেড এর যৌথ উদ্যোগে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সৈকত মোঃ সোহাগ খুলনা
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ