কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এটি শুধু সুস্বাদু নয়, শরীরের নানা উপকারেও আসে। বাজারে নানা জাতের কলা পাওয়া যায়, তবে আলোচনায় এখন লাল কলা। অনেকেই জানতে চান—লাল কলা না হলুদ কলা, কোনটি বেশি উপকারী? এ নিয়ে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ‘ডেইলি ডায়েট’-এর পুষ্টিবিদ ও সিইও একতা ট্যান্ডন জানিয়েছেন, লাল কলা জিনগতভাবে পরিবর্তিত নয় বরং এটি প্রাকৃতিক চাষ ও জৈবিক বাছাইয়ের মাধ্যমে তৈরি। এ কলার স্বাদ মিষ্টি এবং এর গাছ রোগ প্রতিরোধী হওয়ায় সহজে বেড়ে ওঠে ও ঘন ঘন ফল দেয়। গ্লেনেগলস আওয়ার হাসপাতালের প্রধান ডায়েটিশিয়ান ডা. বিরালি শ্বেতা জানান, হলুদ কলার মতো লাল কলাও প্রাকৃতিক চিনি ও কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে যা দ্রুত শক্তি দেয়। এতে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি৬, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা-ক্যারোটিন থাকার কারণে এটি ত্বক ভালো রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে সহায়ক। কম ক্যালোরি ও বেশি ফাইবার থাকায় এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে ওজন কমাতেও সহায়তা করে। পুষ্টিবিদ ট্যান্ডন আরও জানান, হলুদ কলার তুলনায় লাল কলা ছোট ও ঘন। এতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি, বি৬, ম্যাগনেশিয়াম ও বিটা-ক্যারোটিন থাকে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ১–২টি লাল কলা রাখা যেতে পারে। তবে খাবারের মাঝে খাওয়াই উত্তম, যাতে শরীর ভালোভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারে। যদি কারও কলার প্রতি অ্যালার্জি না থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়া না হয়, তবে লাল কলা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর। লাল ও হলুদ—উভয় কলাই উপকারী হলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে লাল কলাকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ