বর্তমানে সকালের খাবারের তালিকায় ওটস দ্রুত জায়গা করে নিয়েছে। আগে এটি অনেকটা বিদেশি খাবার হিসেবেই পরিচিত ছিল, তবে এখন শহর থেকে গ্রাম—সব জায়গাতেই সহজলভ্য। পুষ্টিবিদরা একে “সুপারফুড” বলে থাকেন। কারণ ওটস শরীরকে শুধু শক্তি জোগায় না, বরং নানারকম রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।
ঘুমের মান উন্নত করে
ওটসে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান মেলাটোনিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেট মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যানের মাত্রা বাড়ায়। এতে স্নায়ু শান্ত থাকে এবং ঘুম ভালো হয়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ওটস খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
এতে আছে প্রচুর দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ। যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়।
হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়
ওটসের ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
ত্বকের যত্নে কার্যকর
ওটস শুধু শরীরের ভেতরের জন্য নয়, বাইরের যত্নেও সমান উপকারী। শুষ্ক বা রুক্ষ ত্বক শান্ত রাখতে এবং হালকা এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এজন্য অনেক প্রসাধনী পণ্যে ওটস ব্যবহার করা হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনা, হজমশক্তি বাড়ানো কিংবা ত্বকের যত্ন—সব ক্ষেত্রেই নিয়মিত ওটস খাওয়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হতে পারে।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ