প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ২, ২০২৫, ১:৪৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১২, ২০২৫, ৫:৪৯ পি.এম
ঢাকায় নির্মম ভাবে নিহত সোহাগকে বরগুনায় মায়ের কবরের পাশে দাফন: সোহাগের গ্রামে শোকের মাতম

অমল তালুকদার পাথরঘাটা (বরগুনা ) প্রতিনিধি :
নিকট স্বজনদের আহাজারি আর এলাকা জুড়ে শোকের মাতম।
চাঁদাবাজদের ধার্যকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ঢাকার মিডফোর্ডে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হতে হল বরগুনার সোহাগ (৩৯)কে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে ঢাকা থেকে নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের মরদেহ বরগুনায় নিয়ে আসেন স্বজনেরা। এরপরে বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর নামক এলাকায় তার নানা বাড়িতে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহাগের বয়স যখন মাত্র ৭ মাস তখন বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তার বাবা আইউব আলীর। শুরু হয় তাদের জীবন সংগ্রাম। জীবিকার তাগিদে মা আলেয়া বেগম শিশু সোহাগ ও তার আরও দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে বরগুনা ছেড়ে রাজধানী ঢাকায় পাড়ি জমান। সেই শিশুকাল থেকেই সোহাগ ঢাকায় বড় হন এবং বসবাস শুরু করেন।
একটা সময় সোহাগ বড় হন এবং সংসারের হাল ধরতে শুরু করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার মিডফোর্ডে সোহানা মেটাল নামের একটি দোকান চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করে আসছিলেন। ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিমাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করেই অভিযুক্ত চাঁদাবাজদের সঙ্গে দন্ধ শুরু হয় তার। পরে চাঁদা দাবির টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সোহাগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধও করে অভিযুক্তরা। এরপর গত বুধবার বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে চাঁদার দাবিতে সোহাগকে আটকে রেখে দফায় দফায় চাপ প্রয়োগ করা হয়। এতেও চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহাগকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয় বলে জানান স্বজনরা। নিহত সোহাগ তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকার জিঞ্জিরা কদমতলী কেরানিগঞ্জ মডেল টাউন নামক এলাকায় বসবাস করছিলেন।
নিহত সোহাগের মেয়ে সোহানা ও ছেলে সোহান বলেন, চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এখন এতিম হয়ে গেছি, আমরা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। বাবাকে যারা হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার চাই।
সোহাগের খালা সাজেদা বেগম বলেন, আমার ভাই প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে ব্যবসা করছিলেন। প্রতি মাসে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এছাড়াও তার ব্যবসাটাও নিয়ে নিতে চেয়েছেন অভিযুক্তরা। তবে আমার ভাই তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন এবং নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করে।
নিহত সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমার স্বামীর দোকান থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন হত্যাকারীরা। আমার স্বামীর ব্যবসা তাদের সহ্য হচ্ছিল না। তারা প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা চাইছিল। আমার স্বামী তা দিতে চায়নি। আর এ কারণেই নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয়েছে তাকে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই #
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ