চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।।
চরফ্যাশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ঝাল মুড়ি বিক্রেতার প্রহারে ঐবিদ্যালয়ের দপ্তরী গুরুতর আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত দপ্তরী শ্যামল চন্দ্র দাসকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের বাহিরে এবং প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে।
দপ্তরী শ্যামল চন্দ্র দাস অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের সামনের ঝালমুড়ির দোকানের মালামাল রাখার জন্য এক বছর আগে প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের নির্দেশে দোকানী হোসেনকে বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণী কক্ষের চাবি দেন দপ্তরী শ্যামল চন্দ্র দাস। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন হোসেনের ছেলে স্কুলের ঐরুমে রাতে আজে বাজে লোক নিয়ে আড্ডা দেন এবং জুয়া খেলেন। বিষয়টি তিনি প্রধান শিক্ষককে জানালেও কোন গুরুত্ব দেননি। বৃহস্পতিবার সকালে দপ্তরী শ্যামল চন্দ্র দাস ঝাল মুড়ি বিক্রেতা হোসেনের কাছে চাবি চাইলে হোসেন এবং তার ছেলে শামীম তাকে মারধর করেন।এসময় তাদের কবল থেকে রক্ষা পেতে শ্যামল দৌড়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আশ্রয় নিয়ে তাকে রক্ষায় সহায়তা চান। কিন্ত প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে গ্লাস দিয়ে তার হাতে আঘাত করেন এতে গ্লাস ভেঙ্গে তার হাত কেটে যায়।
প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি তাকে গ্লাস দিয়ে আঘাত করেছি এতে তার হাত কেটেছে এ অভিযোগ সঠিক নয়,শ্যামল পাশের রুমে গিয়ে গ্লাস দিয়ে নিজের হাত নিজে কেটেছে। ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে বিদ্যালয় কক্ষের চাবি আমার নির্দেশে দেয়নি, শ্যামল সকালে আসতে পারেনা একারণে সে হোসেনকে চাবী দিয়েছে, এজন্য সে দায়ী।
ঝাল মুড়ি বিক্রেতা হোসেনের কাছে শ্যামলের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন আমি অসুস্থ্য কথা বলতে পারবো না।
চরফ্যাশন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন জানান, শ্যামলের ডান হাত দুই ইঞ্চি পরিমান কাটা গেছে,৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তার শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন আছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ