মানুষ ভুল করে, আর সেই ভুলের পেছনে থাকে শয়তানের প্ররোচনা ও নিজের প্রবৃত্তির দুর্বলতা। কিন্তু একজন মুমিনের বড় বৈশিষ্ট্য হলো—গুনাহ করার পর অন্তরে অনুতাপ জাগে এবং তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। এ অনুশোচনা-ই প্রমাণ করে যে, তার অন্তরে ঈমান রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন—
“তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব গুনাহ থেকে বিরত থাকো। যারা গুনাহ করে, তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের বদলা দেওয়া হবে।” (সুরা আন’আম: ১২০)
“আমি অবশ্যই ক্ষমা করি তার জন্য, যে তাওবা করে, ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং সঠিক পথে চলে।” (সুরা ত্বাহা: ৮২)
অর্থাৎ, গুনাহ হলেও যদি বান্দা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাঁর দয়া ও মাগফিরাত দ্বারা তাকে ক্ষমা করে দেন।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
“যখন তোমার সৎকর্ম তোমাকে আনন্দ দেয় এবং গুনাহ তোমাকে কষ্ট দেয়, তখন বুঝবে তুমি মুমিন।”
“যে মুসলিম গুনাহ করে, তারপর অজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।”
“যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করে ফেলে বা নিজের প্রতি জুলুম করে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়—সে অবশ্যই আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু পাবে।” (সুরা নিসা: ১১০)
“যারা কোনো অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয় কিংবা নিজের ওপর জুলুম করে, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে—আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করেন।” (সুরা আলে ইমরান: ১৩৫)
গুনাহ করার পর হতাশ না হয়ে, বরং আন্তরিক তাওবা ও ইস্তিগফার করা একজন মুমিনের কর্তব্য। কারণ আল্লাহর রহমত সীমাহীন। সত্যিকার অনুশোচনা ও আল্লাহর দিকে ফিরে আসাই গুনাহ থেকে মুক্তির পথ।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ