রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের কাউখালীতে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা তাদের ভুতুড়ে বিল নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মিটার রিডিং না দেখেই বিল করা, স্বাভাবিক বিলের চেয়ে অতিরিক্ত বিল করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অধিকাংশ গ্রাহকরা অভিযোগ করেন যে, নিয়মিত বিলের চেয়ে অতিরিক্ত বিল করা হয়। অনেক সময় বিদ্যুতের লোক না যেয়ে অন্য লোক দ্বারা রিডিং তুলে আনে। বিলের কাগজ অনেক সময় গ্রাহকদের ঘরে না দিয়ে পার্শ্ববর্তী দোকানে কিংবা অন্য ঘরে রেখে যায়। এতে করে বিল দেওয়ার তারিখ শেষ হওয়ার পর অনেকে বিলের কাগজ হাতে পায় যার ফলে সুদসহ অতিরিক্ত বিল দিতে হয় । উপজেলা সদরের সাহাপুরা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে অভিযোগ করে বলেন জুন মাসে তাদের বিল হয়েছে ৮৮৫ টাকা। অথচ তাদের নিয়মিত বিল হয় ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। গত মাসে তাদের বাড়িতে বিদ্যুতের লোক না এসে এলাকার একজন লোক মিটার দেখে যায়। কাউখালী সদরের বাসিন্দা সংবাদকর্মী হাফেজ মাসুম বিল্লাহ জানান, অনেক সময় মাসের বিল মাসে না দিয়ে দুই মাস পর বিল দেওয়া হয়। তাতে আমাদের বিল দিতে খুবই সমস্যা হয়। মিটার না দেখে আন্দাজে অতিরিক্ত বিল করে। আমার গত দুই মাসে ৫ হাজার টাকা বিল করেছে। যেখানে আমার বিল হবার কথা দুই থেকে তিন হাজার টাকা। দাসেরকাটি গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। দাসেরকাঠি গ্রামের মোজাহার খানের ছেলে ইকবাল হোসেন খান জানান, গত ২০ দিন আগে আমার মিটার পুড়ে গেছে কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্বেও আজ পর্যন্ত আমার ঘরে নতুন মিটারের সংযোগ দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার নুরুল হুদা জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ