আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দাপুটে অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে স্বজন ও সমর্থকদের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগঘন বিদায়ী মুহূর্ত উপভোগ করেন ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলেও, গ্যালারিভর্তি দর্শকদের ভালোবাসা আর সম্মানে ভেসেছেন রাসেল।
বিদায় উপলক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলের ক্রিকেটাররা তাকে 'গার্ড অব অনার' দিয়ে সম্মান জানান। ম্যাচ শেষে জ্যামাইকার ক্রীড়া মন্ত্রী রাসেলকে তুলে দেন বিশেষ স্মারক—জ্যামাইকার পতাকায় মোড়ানো গিটার-আকৃতির ব্যাট ও বল। যেন ক্রিকেট আর রেগে সুরের এক অনন্য সম্মিলনেই বিদায় নিলেন ক্যারিবীয় তারকা।
ম্যাচ শেষে রাসেল বলেন, "এখনই থেমে যাওয়ার সময় এসেছে। এখান থেকেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে নতুনরা। আমি কৃতজ্ঞ স্যাবাইনা পার্কে আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করতে পেরে।"
২০১০ সালে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় রাসেলের। এরপর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, সব ফরম্যাটেই নিজেকে মেলে ধরেন। ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তীতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই বেশি সময় কাটান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রাসেল খেলেছেন মাত্র ৮৬টি ম্যাচ, করেছেন ১,১২২ রান (স্ট্রাইক রেট ১৬৩.৭৯) ও নিয়েছেন ৬১ উইকেট। তবে আইপিএল, বিপিএল, সিপিএলসহ বিশ্বের প্রায় সব জনপ্রিয় লিগেই তিনি ছিলেন এক নির্ভরযোগ্য নাম।
শেষ ম্যাচে ব্যাটে কিছুটা ঝলক দেখালেও বল হাতে খরুচে ছিলেন, মিস করেছেন দুটি ক্যাচও। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে গ্যালারিতে উপস্থিত হাজারো ভক্তের ভালোবাসা আর তার বিদায়ী আবেগই যেন মুহূর্তগুলোকে ইতিহাসে পরিণত করেছে।
আন্দ্রে রাসেল শুধু একজন ক্রিকেটার নন—তিনি ছিলেন বিনোদন, শক্তি ও ক্যারিবীয় রঙিনতার প্রতীক। বিদায় নিলেন এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের শেষ চিহ্ন এঁকে।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ আলী।
সম্পাদক ও প্রকাশক :শেখ হাসান আল মাহমুদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :মারুফা আলী
রায়েন্দা বাজার, শরণখোলা জেলা বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত।
মোবাইল নম্বর ০১৭১১৯০৪২০৭,০১৩১৪০৯২৪৮৭।
ই-মেইল- sarankholadarpan@gmail.com
স্বত্ব © ২০২৫ শরণখোলা দর্পণ